নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁকসার গোপালপুরের ওই ঘটনায় ১৬ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল।
এক যুব তৃণমূল নেতা সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার প্ররোচনা দিয়েছেন, এই অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালপুরে মিছিল করে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা সেই মিছিলে হামলা করে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, মিছিল থেকে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের এক নেতার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ নিয়ে এলাকায় অশান্তি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার এলাকার সিপিএম নেতা স্বপন দত্তের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে জখম হয় কিশোরী পরিচারিকা বন্দনা বাউড়ি। তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বপনবাবু। বন্দনার বাবা সুখদেব বাউড়ি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, যুব তৃণমূল নেতা কাঞ্চন নায়েক হাসপাতালে গিয়ে স্বপনবাবুর বিরুদ্ধে মেয়েকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনার প্ররোচনা দেন। এ জন্য টাকা দেওয়ার কথাও বলেন। কাঞ্চনবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি।
এই ঘটনা নিয়ে সিপিএম মিছিল করছিল। অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে সেখান থেকে মিছিলের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করা হয়। প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ সিপিএমের লোকজনের। যদিও তা অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, মিছিল থেকে বেরিয়ে সিপিএমের লোকেরা তৃণমূল নেতা অঞ্জন চট্টরাজের গাড়ি ভাঙচুর করে। রাতেই তৃণমূলের তরফে সিপিএমের অঞ্চল কমিটির সদস্য তপন পাল, স্বপনবাবু-সহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিনা প্ররোচনায় সিপিএমের কর্মীরা আমাদের লোকজনের উপরে হামলা চালিয়েছে।” বুধবার পুলিশ মহাদেব বাউড়ি ও অক্ষয় নায়েক নামে দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে ধরা হয়েছে। |