এক কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। ওই কিশোরীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কুমারগ্রামের মারাখাতা গ্রামে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটলেও গত সোমবার রাতে কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রঞ্জিৎ রায়। বাড়ি ওই গ্রামেই। পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী রঞ্জিত বিবাহিত। তার দুই ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।” কিশোরীর বাবা ও মা দু’জনেই দিনমজুর। ঘটনার দিন কিশোরীর মা কুমারগ্রামে দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার বাবা সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফিরে ভাইকে নিয়ে বাজারে যান। সেই সময় অভিযুক্ত ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
আরএসপির কুমারগ্রাম জোনাল কমিটির সদস্য নিদান সরকার বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতারা অভিযুক্তকে আড়াল চেষ্টা শুরু করেছেন। তাঁরা সালিশি সভায় বিষয়টি মিটমাট করার আশ্বাস দেন। এমনকি, ওই তৃণমূল কর্মীকে পালাতে সাহায্য করেছেন কয়েকজন তৃণমূল নেতা। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।” তৃণমূলের খোয়ারডাঙ্গা- ২ অঞ্চল কমিটির সভাপতি দীপেন দেবনাথ বলেন, “অভিযুক্তকে আড়াল করার প্রশ্ন নেই। বিষয়টি ঠিকঠাক জানি না। এই ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। আমরাও অভিযুক্তের শাস্তি চাই।” তিনি জানান, এই ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘটনাটিকে রাজনীতির রং লাগাচ্ছে আরএসপি। নিখিলবঙ্গ মহিলা সমিতি সমিতির সম্পাদিকা তথা কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসন্তী কেরকাট্টা বলেন, “ওই কিশোরীর পাশে আমরা আছি। তাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে।” তবে অভিযুক্তের স্ত্রী সুশীলা রায় বলেন, “আমার স্বামী তৃণমূল করেন। ঘটনাটি জানার পর তৃণমূল নেতারা বিষয়টি দেখছেন। তবে স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এর পিছনে আরএসপি নেতারা আছেন।” |