তল্লাশির নামে ছাত্রীদের হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগকে ঘিরে বিএসএফ এবং গ্রামবাসীদের গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের শীতলখুচি থানার শালবাড়ি সীমান্ত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েকজন জখম হন। তাদের মধ্যে চার জনকে রাতে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “মহিলা কনস্টেবল ছাত্রীদের তল্লাশি করে। তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। রাত ৮ নাগাদ খবর পেয়েছি। পুলিশ এলাকায় গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে কোনও পক্ষই এখনও অভিযোগ দেয়নি। বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের ডিআইজি অশোক কুমার জানান, তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকালে কয়েকজন ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের বিএসএফের মহিলা কনস্টেবলরা তল্লাশি করেন। বাড়ি ফিরে ছাত্রীরা অভিভাবকদের কাছে তল্লাশির নামে হেনস্থা করার অভিযোগ জানায়। গ্রামবাসীরা ওই ব্যাপারে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাতে জওয়ানদের ক্যাম্পে যায়। সেখানেই দুই পক্ষের বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা চরমে ওঠে। গ্রামবাসীদের তরফে ইট পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিএসএফও পাল্টা লাঠি চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে খলিসামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আবুবক্কর সিদ্দিকের গাড়িও জওয়ানেরা ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। মাথাভাঙা মহকুমা তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেস নেতা আলিজার রহমান বলেন, “বিএসএফের মহিলা কনস্টেবলরা ছাত্রীদের তল্লাশির নামে শারীরিক হেনস্থা করায় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করতে যান। খবর পেয়ে প্রধানও গিয়েছিলেন। বিনা প্ররোচনায় প্রধানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাসিন্দাদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ হয়েছে।” |