আতঙ্কে সাধারণ রোগীরা
নার্সের অভাবে বন্ধ সংক্রামক বিভাগ
কোনও বেডে জ্বরের রোগীর পাশে যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা চলছে। আবার কোনও বেডে পাশাপাশি রয়েছে জ্বর, কাশি, হাত-পা ব্যথার রোগী, কোথাও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে পাশাপাশি। এমনই দৃশ্য দেখা গেল খোদ রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি সংক্রামক বিভাগে তালা ঝুলিয়ে সেখানকার রোগীদের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। এটা অস্থায়ী বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বাস্তবে অন্য কথা বলছে। ১৮ মার্চ থেকে এ ভাবেই সাধারণ রোগীদের পাশে চিকিৎসা চলছে সংক্রামক রোগীদের। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
১৬ দিন ধরে তালা ঝুলছে সংক্রামক বিভাগে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
কিন্তু যে হাসপাতালে ১৯৯৭ সাল থেকে সংক্রামক বিভাগ চালু আছে, সেখানে হঠাৎ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল কেন? সুদীপ্তবাবুর বক্তব্য, “বর্তমানে নার্সিং স্টাফের অভাব আছে। এ ছাড়াও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব থাকার জন্য আলাদা করে সংক্রামক বিভাগ চালু রাখা সম্ভব নয়। সে জন্য পুরুষ ও মহিলা দু’টি বিভাগে দু’টি আলাদা ঘর করে ডায়েরিয়া ও অন্যান্য সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে গিয়ে দেখা গেল, কিন্তু অন্য দৃশ্য। যেখানে সংক্রামক রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই দু’টি ঘরের অব্যবস্থা চোখে পড়ল। দু’টি ঘরে আলো, পাখা নেই। তাই অপরিষ্কার শৌচাগারের সামনে ওই দু’টি ঘরে রোগীরা থাকতে চাইছেন না। তাই মুরারই এলাকার বাসিন্দা, ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী সুনীল কর্মকারকে ভর্তি করতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ রোগীর পাশে এবং জ্বরের রোগীর পাশে রয়েছে যক্ষা রোগী প্রকাশ বাউড়ি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা বলেন, “এক প্রকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি।” তাঁদের প্রশ্ন, “এ ভাবে সাধারণ রোগীর পাশে সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসা চলে?”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালের টেবিল অনুযায়ী নার্সের সংখ্যা ৭১। ওই সংখ্যক নার্সই ছিল হাসপাতালে। সম্প্রতি ১৬ জন অন্যত্র বদলি হয়েছেন। ওই জায়গায় ৮ জন নার্স এসেছেন। স্বাভাবিক ভাবে ৮ জন নার্সের ঘাটতি আছে। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “পুরুষ ও মহিলা সংক্রামক রোগীদের জন্য আলাদা দু’টি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ রোগীদের সঙ্গে সংক্রামক রোগীদের থাকার কথা নয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.