অতিরিক্ত হারে সুদের টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে একটি বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের ওই নির্দেশ দেন মন্ত্রাী। মন্ত্রী বলেন, “একের পর এক অভিযোগ পাচ্ছি। মাঝে মধ্যেই ওই ধরণের বেশ কিছু সংস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ বিক্ষোভে নামছেন। সংস্থার কর্মীরা রোষের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আইন মেনে প্রত্যেকটি সংস্থার কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।” পাশাপাশি, শহর ও গ্রামে সচেতনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, পুলিশ, প্রশাসনের পাশাপাশি পুরসভা ও পঞ্চায়েত দফতর থেকেও যাতে সচেতনতা প্রচার চালানো হয় সে ব্যপারে উেদ্যোগ নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন অর্থলগ্নিকারী সংস্থা অফিস খুলছে। অভিযোগ, এর মধ্যে বেশ কিছু সংস্থা উঠে যাচ্ছে। গত এক মাসে শিলিগুড়ি শহর থেকে তিনটির বেশি সংস্থার কর্তারা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছে। সেবক রোডের দুটি অফিসে, চয়নপাড়া ও কলেজ পাড়ায় একটি অফিসে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ওই সংস্থাগুলি মাসিক অতিরিক্ত হারে সুদ দেওয়ার টোপ দিয়ে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিটি সংস্থায় মাসিক বেতন বা কমিশনের উপরে এজেন্ট নিয়োগ করে ওই ব্যবসা। গ্রাম ও শহরের প্রচুর বেকার তরুণ-তরুণীরা ওই সংস্থাগুলির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের মাধ্যমেই বাজার থেকে টাকা তোলার কারবার করছে ওই সংস্থাগুলি। সংস্থার কর্তা পালিয়ে যাওয়ার পর মানুষের রোষে পড়ছেন এজেন্টরা।
এই অবস্থায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলির অফিসে গিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের তাদের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, “পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে এই ধরণের সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” সেক্ষেত্রে পুলিশ সঠিক কাগজপত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পারবে। |