তিনি কোন দলের কাউন্সিলর তা কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে রাজি হলেন না নান্টু পাল। মঙ্গলবার হাইকোর্টে বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাসের এজলাসে ওই মামলার শুনানির সময়ে নান্টুবাবুর আইনজীবী দেবাশিস কুণ্ডু জানান, শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনও কাউন্সিলর কোন দলে রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি সরকারি নির্দিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানাতে বাধ্য। নান্টুবাবু উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছেই সব কিছু জানাবেন বলে তাঁর আইনজীবী বিচারপতিকে জানান।
এর পরেই বিচারপতি সাত দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দেন। ওই কর্তৃপক্ষের কাছে নান্টুবাবুকে তাঁর দলগত অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জানানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি। দলগত অবস্থান জানানোর পরে যদি দেখা যায় নান্টুবাবু দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়ছেন সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া ৮ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করে উচ্চ আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এ ব্যাপারে নান্টুবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমি সব সময় আইন মেনে চলি। আগামী দিনেও উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে চলব।” শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তও ওই রায়ের বিষয়টি শুনেছেন। তিনি বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা চলব।”
গত ২৭ সেপ্টেম্বর নান্টুবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই সময়ে নান্টুবাবু কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। নান্টুবাবু দলত্যাগের পরে চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না, এই অভিযোগে বোর্ড মিটিং বয়কট করে বামেরা। কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের একাংশও পৃথক ভাবে তাতে সামিল হন। চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে বামেরা পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও বৈঠক ডাকা হয়নি। তাই বামেরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের নির্দেশে পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠক ডাকতে বাধ্য হন। নান্টুবাবু ভোটাভুটিতে হেরে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হন। মাসখানেক পরে চেয়ারম্যান পদে ফের ভোট হয়। সেখানে তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। ১৯ মার্চ মেয়রের তরফে নান্টুবাবু কোন দলে রয়েছে তা জানাচ্ছেন না কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। |