|
|
|
|
তবু কাটছে না বিরোধিতার সুর |
খসড়া বাজেটে বরাদ্দ বাড়াল হলদিয়া পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরদের বরাদ্দ সংযোজনের দাবিতে সিলমোহর দিয়ে খসরা বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ বাড়াল হলদিয়ার বাম পরিচালিত পুরসভা। মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়া পুরসভার এই বরাদ্দ সংযোজন গৃহীত হওয়ার সিদ্ধান্ত চিঠি দিয়ে বিরোধীদের জানানো হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাদ্দ সংযোজনের ফলে ৫৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ১ হাজার টাকার বাজেট বেড়ে দাঁড়াল ৬২ কোটি ২৭ লক্ষ ১ হাজার টাকায়।
বিরোধীদের টানা বিক্ষোভের পরে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে গত ১৫ মার্চ সিপিএম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভা বাজেট পেশ করে। সেই খসড়া বাজেটে ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে মোট ৫৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ১ হাজার টাকার ব্যয় বরাদ্দ ঘোষণা করে পুরসভা। বাজেট ‘ত্রুটি ও অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। ২১ মার্চ পেশ হওয়া খসড়া বাজেট বরাদ্দ সংযোজনের জন্য বেশ কিছু দাবিও লিখিত আকারে জমা দেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। পানীয় জল, নিকাশি থেকে স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে বাজেটের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬২ কোটি ২৭ লক্ষ ১ হাজার টাকা করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
সেই বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, পুরপ্রধান জানিয়েছিলেন শিল্পের মন্দার প্রভাবে বন্দর ও অন্যান্য শিল্পসংস্থা থেকে পুরসভার নিজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে পুরকর কম পাওয়া যাচ্ছে। হঠাত্ সেই আয় কী ভাবে বেড়ে গেল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “পুরসভা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে তা স্পষ্ট হল। মুখে আয় নেই বললেও চাপের মুখে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। শিল্পের মন্দার প্রভাব একটা অজুহাত মাত্র।” যদিও পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ বলেন, “বাজেট সব সময় সম্ভাব্য। ওঁরা দাবি দেওয়ার পরে আমরা গৃহকর, দোকানের শুল্ক, পুরসভার জমি বিক্রি করে আয় বাড়নো সম্ভব বলে উন্নয়নের স্বার্থে প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। সেটা সংশ্লিষ্ট চিঠি দিয়ে ওঁদের জানানোও হয়েছে।”
এ দিকে এই গৃহকর, দোকানের শুল্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সাধারণের ওপর পুরসভা বোঝা চাপাতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার অতিথিশালা ‘আকাশ’ পরিচালনা করেন যিনি, তিনি তিন বছর ধরে লিজ চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেননি। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্যবহৃত পুরসভার মহিলা হস্টেলের টাকা ও পুরকর বকেয়া রয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। দেবপ্রসাদবাবুর মতে, “পুরসভা ইচ্ছে করলেই ‘আকাশ’ ও ‘আই কেয়ারের’ হস্টেল থেকে টাকা আদায় করে আয় বাড়াতে পারে। সেগুলি না করে সাধারণের ওপর বোঝা চাপানো হয়েছে।” তমালিকাদেবীর বক্তব্য, “যে সব ক্ষেত্রে আয় বাড়ানো সম্ভব তা ওই চিঠিতেই জানানো হয়েছে। ওঁদের সহযোগিতা থাকলেই বরাদ্দ বাড়বে।” |
|
|
|
|
|