|
|
|
|
চাকরিতে প্রতারণা, কলেজে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
চাকরির নামে প্রতারণা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অন্তিম বর্ষের পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ‘গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামে ওই কলেজের গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। ঘটনার কথা জানতে পেরে আসেন পরিচালন সমিতির সম্পাদক আশিস লাহিড়ি, অধ্যক্ষ বিক্রমজিত্ চৌধুরী, ট্রেনিং প্লেসমেন্ট অফিসার চন্দ্রদীপ ভট্টাচার্য। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই নিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ‘যোগাযোগে ফাঁক’ থাকাতে এই সমস্যা।
কলেজ সূত্রে খবর, কলেজের সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় তিনশো। এখনও পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন মাত্র ৯২ জন। এই নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। সম্প্রতি ‘কোচার ইনফোটেক’ নামে একটি সংস্থাকে ক্যাম্পাসিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাতে কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ও মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে মোট ১৯ জন চাকরির সুযোগ পান। গত সোমবার থেকে ৫ হাজার ৭৭০ টাকা মাসিক বেতনে ওই কোম্পানিতে ‘টেকনিক্যাল সাপোর্টে’র কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু সংস্থায় গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন প্রাথমিক পর্যায়ে মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এরপরই চাকরিতে যোগ না দিয়ে কলেজে ফিরে দুপুর থেকে ওই পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সামিল হন ওই বর্ষের অন্য পড়ুয়ারাও। তাঁদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ কম বেতনের কথা জেনেও চাপের মুখে পড়ে ওই ক্যাম্পাসিংয়ের আয়োজন করেছিল। তাঁরা ‘প্রতারিত’ হয়েছেন। কলেজ যদি আবার নিয়োগপত্র না দেয় তা হলে আন্দোলনের কথাও জানান তাঁরা।
গত বছরেও মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন, হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসিং নিয়ে পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে। এ দিন আবারও প্রকাশ্যে এল এই সংস্থার দুর্বলতা। কলেজের অধ্যক্ষ বিক্রমজিত্ চৌধুরী বলেন, “ওই সংস্থার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগে ফাঁক থেকে গিয়েছে। আমরা এখন আবারও ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারি। সে জন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|