|
|
|
|
মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধ দেওয়ার অভিযোগ বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সমবায় সমিতির ভোটে মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়ে মার খাওয়ার অভিযোগ করলেন বাম প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার তমলুকের আবাসবাড়িতে তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়েছিলেন বর্তমান পরিচালন সমিতির এক ডিরেক্টর, তিন নির্বাচিত প্রতিনিধি-সহ বামফ্রন্টের পাঁচ প্রার্থী। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। পরিচালন সমিতির ডিরেক্টর সিপিএমের জগন্নাথ জানা ও প্রাক্তন সিপিআই পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণুহরি প্রধানকে মারধরও করা হয়। পরে তাঁরা তমলুক থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে বলে জগন্নাথবাবুর অভিযোগ। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান সিপিএম জেলা নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, “সিপিএম নেতৃত্ব আমার কাছে টেলিফোনে অভিযোগ করেছিলেন। আমি তমলুকের সার্কেল ইন্সপেক্টরকে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
তমলুক সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে গত বার ১১৪ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মহিষাদল ব্লক থেকে বামফ্রন্টের ৭ জন প্রতিনিধি ছাড়া বাকিরা ছিলেন তৃণমূলের। ফলে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পায় তৃণমূল। গত বার ৫০০ সদস্য পিছু এক জন প্রতিনিধি ছিলেন। নতুন নিয়মনুযায়ী এ বার ৭০০ জন সদস্য পিছু এক জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। ফলে এ বার প্রতিনিধি সংখ্যা কমে হয়েছে ৮২। আগামী ২৬ মে ভোট গ্রহণের জন্য ২ ও ৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়। জগন্নাথবাবু বলেন,“প্রথম দিনেই মহিষাদল থেকে আমরা পাঁচ জন এসেছিলাম। দেখি, ব্যাঙ্কের সামনে তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়েছেন। আমরা ভিতরে ঢুকতে গেলে ওঁরা বাধা দেন। মারধর করে আমাদের বের করে দেন। বিষ্ণুহরিবাবুর বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুল ভেঙে গিয়েছে। পুলিশের সামনে পুরো ঘটনাটা ঘটে।” সিপিএম নেতা জগন্নাথবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সভাপতি তৃণমূলের নিকুঞ্জ মান্নাকে ফোনে মারধরের ঘটনাটি জানানো হলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।”
চেয়ারম্যান নিকুঞ্জ মান্না অবশ্য বলেন, “এ দিন আমি ব্যাঙ্কেই ছিলাম। জগন্নাথবাবু টেলিফোনে আমাকে অভিযোগ জানান। কিন্তু নীচে এসে দেখি জগন্নাথবাবুরা কেউই সেখানে নেই। আমরাও চাই গণতান্ত্রিক ভাবে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচন হোক। এ দিন ব্যাঙ্কের সামনে প্রচুর পুলিশ ছিল। তাঁদের সামনে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক সোমনাথ বেরাও দাবি করেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ৭২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দিয়েছেন। আগামী কাল বাকিরা দেবেন।” |
|
|
|
|
|