টিম মালিকের পর এ বার টিম। ডিসকভারি চ্যানেলের পৃথিবীতে এ বার ঢুকে পড়তে চলেছে কেকেআর।
আজ পর্যন্ত কোনও আইপিএল টিমকে নিয়ে যা হয়নি, কেকেআরকে নিয়ে সেটাই হতে চলছে। প্রথম এই চ্যানেলের দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছে আইপিএলের কোনও টিম। গৌতম গম্ভীর, জাক কালিসদের নেট সেশন থেকে শুরু করে অন্দরমহলের যাবতীয় ঘটনাবলি—সবই পৌঁছে যাবে গোটা বিশ্বের ড্রইংরুমে।
কেকেআর মালিক শাহরুখ খানকে নিয়ে এর আগে ‘লাইফ উইথ আ সুপারস্টার’ বলে পূর্ণাঙ্গ একটি তথ্যচিত্র করেছিল এই চ্যানেল। যেখানে কিং খানের দৈনন্দিন জীবনযাপনের নানা মুহূর্ত, ঘটনাকে বন্দি করা হয়েছিল ক্যামেরায়। কেকেআরের ক্ষেত্রেও ওই একই টিম এ বার কাজ করছে।
কী কী শুট করা হবে?
নেট সেশন তো বটেই। হোটেলেও নাইটরা কখন কী করছেন, তা ধরা থাকবে ক্যামেরায়। মাঝে মাঝে ইন্টারভিউ। গম্ভীরদের সাংবাদিক সম্মেলনের টুকরো-টাকরা। ক্রিকেটারদের ঠাট্টা-ইয়ার্কি। কিছুই বাদ যাবে না। খুব সহজে, কেকেআরের ‘বিহাইন্ড দ্য সিনস’ যা যা সম্ভব, সবই থাকছে। ম্যাচের সময় মাঠে ঢোকার উপায় নেই। কারণ তার স্বত্ব আইপিএল কিনে রেখেছে। অতএব দর্শনটা হল, মাঠের বাইরের মুহূর্তকে তুলে ধরো। ক্রিকেটের মহানায়কদের ‘রিয়েল লাইফ সিচুয়েশন’-কে দর্শকের কাছে পৌঁছে দাও। |
ইডেনে ক্যামেরার সামনে নাইট কোচ। ছবি: উৎপল সরকার |
জানা গেল, টানা দু’মাস এ দেশে পড়ে থাকবে এই চ্যানেলটির টিম। পাঁচ-ছ’জনকে পাঠানো হয়েছে এই কাজের জন্য। দিন তিনেক হয়ে গেল কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারও নাইট প্র্যাক্টিসের সময় দেখা গেল, দু’জন ইংরেজ কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে ইডেনে ঘুরছেন। গম্ভীরদের ব্যাটিং প্র্যাক্টিস থেকে ড্রিংকস ব্রেক, মায় ইডেনের নোটবুক হাতে উপস্থিত মিডিয়া— সবই উঠে থাকছে।
কিন্তু আইপিএলের বাকি টিম ফেলে শুধু কেকেআর-ই কেন?
দু’টো কারণ পাওয়া যাচ্ছে।
এক) কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো গ্ল্যামার আইপিএলের কোনও টিমের নেই। একে টিম মালিকের নাম শাহরুখ খান। বলিউডের বাদশা। তা ছাড়া টিমটাও টুর্নামেন্টের বাদশা হয়ে দেখিয়েছে আইপিএল ফাইভে।
দুই) টিমটার অন্দরমহলের মশলাও বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি। সচিনের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে বাদ রাখলে ভারতীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারের এমন বৈচিত্রপূর্ণ মিশেল আর কোথাও নেই তেমন। যেমন ধরা যাক ব্রেট লি। বল হাতে যতটা সাবলীল, গিটার হাতেও ঠিক ততটাই।
টুর্নামেন্ট একবার শেষ হলেই সংশ্লিষ্ট চ্যানেলে চলে আসবে এই তথ্যচিত্র। যে শো সুপারহিট হওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই নাইট শিবিরে। কেকেআর টিমের সঙ্গে যুক্ত একজন বলছিলেন, “টিমটা এত দিন ভারতে বিখ্যাত ছিল। এ বার গ্লোবালাইজেশন হবে।” |