|
|
|
|
নিয়োগে অনিয়মের নালিশ |
বিক্ষোভ, লেখাপড়া শিকেয় শিক্ষাকেন্দ্রে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক শিক্ষককে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার শালবনির কাশীজোড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। তাঁরা সকলেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বলে পরিচিত। শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের সমিতি এডুকেশন অফিসার (এসইও) দীপক দাস। তড়িঘড়ি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এ সবের জেরে এ দিন আর ওই শিক্ষাকেন্দ্রে লেখাপড়া হয়নি। শালবনির বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। এসইও তদন্তে গিয়েছিলেন। যে সময় ওই নিয়োগ হয়েছিল, তখনকার নির্দেশিকা খতিয়ে দেখছি।”
কাশীজোড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক কাঞ্চন চৌবের নিয়োগ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। ২০০৭ সালে এই শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। অভিভাবকদের বক্তব্য, সেই সময় ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় কাঞ্চনবাবুকে। অথচ, তিনি বাংলা পড়ান। ক’দিন আগে এই অভিযোগে বিডিওর দ্বারস্থ হন একাংশ অভিভাবক। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও ছিলেন। এ দিন কাঞ্চনবাবু শিক্ষাকেন্দ্রে আসার পর তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকদের একটা অংশ। শিক্ষাকেন্দ্রের সামনেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে স্কুল ছাড়েন ওই শিক্ষক। তদন্তে এসে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের সমিতি এডুকেশন অফিসার। বিক্ষোভের জেরে তিনিও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। এই মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০৪। শিক্ষক রয়েছেন মোট ৬ জন। ব্লক প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানো অনুচিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীদেরই ক্ষতি।
তৃণমূল অবশ্য গোটা ঘটনায় দলের সম্পর্ক আছে বলে মানতে চায়নি। দলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “কাশীজোড়ায় ঠিক কী হয়েছে জানি না। যদি কিছু হয়েও থাকে, তার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই।” তবে যুব তৃণমূলের শালবনি ব্লক চেয়ারম্যান আশিস বিশুইয়ের বক্তব্য, “শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে অভিভাবকদের ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরাই বোধহয় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|