|
|
|
|
এ বার জোটবদ্ধ গুরুঙ্গ-সোরেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়েছে গত জানুয়ারি থেকেই। জিটিএ ভোটে প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও বর্তমানে দার্জিলিং পাহাড়ে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল থাবা বসাচ্ছে বিমল গুরুঙ্গের সংগঠনে। কার্যত পাল্টা আক্রমণ শানাতেই এ বার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিএমএম) পাহাড় ছেড়ে নেমে আসতে চাইছে ডুয়ার্স, তরাই ও সংলগ্ন সমতলে। তাদের লক্ষ্য ডুয়ার্সের আদিবাসী ভোট। আর সেই কারণেই জিএমএম জোট বাঁধল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) সঙ্গে।
কয়েকশো বছর আগে দার্জিলিঙের পাহাড় ও ডুয়ার্সে চা-বাগান তৈরির সময় তৎকালীন ব্রিটিশ বাগান-মালিকরা ছোটনাগপুর মালভূমি থেকেই নিয়ে গিয়েছিল শ্রমিক। সেই আদিবাসী তথা মদেশিয়া শ্রমিকরা কিন্তু এখনও শিকড় খোঁজে ছোটনাগপুরেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেই ছোটনাগপুরের একদা অবিসংবাদিত নেতা শিবু সোরেনের হাত ধরতে চাইছেন গুরুঙ্গ। পঞ্চায়েত ভোট তো বটেই, আগামী লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সে দুই মোর্চা এক সঙ্গে লড়াই করবে। এমনটাই জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। পশ্চিমবঙ্গের গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত অনেক জায়গাতেই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মু্ক্তি মোর্চা। নাগরাকাটা, মাদারিহাট ও কালচিনিতে তারা ভাল ভোটও টেনেছিল।
জোট নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে আলোচনা করতে সোমবার রাঁচিতে আসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই নেতা, রোশন গিরি ও দার্জিলিং-এর বিধায়ক ত্রিলোক কুমার দেওয়ান। আজ সকালে মোরাবাদিতে তাঁরা জেএমএম প্রধান শিবু সোরেনের বাড়িতে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে ছিলেন শিবু-পুত্র হেমন্ত সোরেনও। আলোচনার পরে শিবু সোরেন নিজেই দুই মোর্চার জোট বাঁধার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিবু বলেন, “আদিবাসীরা সব জায়গাতেই সমস্যার মধ্যে আছেন। এখানকার আদিবাসীদের সঙ্গে তাঁদের কোনও তফাত নেই। পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসীদের স্বার্থেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট বেঁধে পঞ্চায়েত ভোটে লড়বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।”
বৈঠকের পরে রোশন গিরি জানান, তৃণমূলের সঙ্গে আর কোনও সমঝোতার পথ খোলা নেই। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে দুই মোর্চা একত্রে লড়বে।” কিন্তু শাসক দলের সঙ্গে বিরোধিতার কারণেই কি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোটের প্রয়োজন হচ্ছে। রোশন বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ওঁরাও আদিবাসীদের জন্য লড়াই করছেন। আমরাও তাই। আদিবাসীদের স্বার্থেই এই জোট।” |
|
|
|
|
|