শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। তাই তার উন্নতির জন্য এ বার একটি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কমিটি করতে নির্দেশ দিল আদালত। যে কমিটি গঠন করা হবে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, পরিবহণ দফতর, কেএমডিএ এবং নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধি-সহ কয়েক জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে। ওই কমিটির কাজ হবে কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধন ও দৈনন্দিন নজরদারি চালানো।
কলকাতার যানজট নিয়ে ২০০৩ সালে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। মঙ্গলবার ছিল মামলাটির শুনানির দিন। এ দিন আদালতে সুভাষবাবু ট্রাফিক ব্যবস্থার দুরবস্থার পাশপাশি শহরের রাস্তা জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা করার বিষয়টি তুলে ধরে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন। তখনই কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ওই কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়।
অন্য রাজ্যে যদি ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতিতে এই ধরনের কমিটি থাকে, তবে এ রাজ্যে কেন তা থাকবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে ১৫ জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে ওই কমিটি গড়তে হবে। তাতে সরকারি প্রতিনিধিরা ছাড়াও থাকবেন কয়েক জন বিশেষজ্ঞ। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের নাম আদালতের কাছে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
সুভাষবাবুর করা অন্য একটি জনস্বার্থ মামলায় আদালত এ দিন নির্দেশ দিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় স্থানান্তরের বিকল্প ব্যবস্থা হয়েছে কি না, তা জানাতে হবে। আর তা যদি না হয়, তবে হাওড়া পুরসভার কমিশনার ও হাওড়ার জেলাশাসককে ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে হাজিরা দিয়ে এ সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। বেলগাছিয়া ভাগাড় স্থানান্তর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সুভাষবাবু মামলা করেন ২০০৬ সালে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত একাধিক বার হাওড়া পুরসভা ও হাওড়া জেলা প্রশাসনকে বেলগাছিয়া ভাগাড় স্থানান্তর করে নতুন জায়গা খোঁজার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এ বিষয়ে পুরসভা বা প্রশাসন কোনও সদুত্তরও দেয়নি। এ দিন সুভাষবাবু বিষয়টি ফের আদালতের নজরে আনলে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়।
|
