রাজনৈতিক সমাবেশ আর বিক্ষোভ-মিছিলের ফাঁসে কাজের দিনে ফের থমকে গেল মধ্য কলকাতার যান চলাচল। মঙ্গলবার দুপুরে বাস, গাড়ি, ট্যাক্সির দীর্ঘ যানজটে আটকে নাকাল হলেন বহু নিত্যযাত্রী। ভোগান্তির জন্য অভিযোগের আঙুল উঠল শাসক, বিরোধী দু’পক্ষের দিকেই।
এ দিন মেট্রো চ্যানেলে সমাবেশ ছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। ওই মঞ্চ থেকে একশো মিটার দূরে, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভার আয়োজন করেছিল বামফ্রন্ট। এই দুইয়ের জেরে ধর্মতলা চত্বরের রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা ছিলই। এর মধ্যেই বামপন্থী কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের আইন-অমান্য প্রদর্শনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে জওহরলাল নেহরু রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এসপ্ল্যানেড ইস্ট, এস এন ব্যানার্জি রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ-সহ ওই এলাকার রাজপথগুলি।
|
থমকে আছে ধর্মতলা। মঙ্গলবার।—নিজস্ব চিত্র |
রোদের তেজ উপেক্ষা করে দুপুর ১২টা থেকেই মেট্রো চ্যানেলে তৃণমূলের সভায় ভিড় জমতে শুরু করে। শিয়ালদহ, হাওড়ার দিক থেকে একের পর এক মিছিল ঢুকতে থাকে ওই চত্বরে। ভিড় জমতে শুরু করে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দিক থেকেও। বেলা বাড়তেই তাই যান চলাচল ব্যাহত হয় ধর্মতলা চত্বরে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পরে আশপাশের রাস্তাগুলিতেও। পরিস্থিতি সামলাতে পথে নামেন লালবাজারের ট্রাফিক-কর্তারাও। পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের উপরে তখন সার দিকে আটকে বাস-গাড়ি।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কলেজ স্কোয়ার থেকে বামপন্থী পাঁচটি ছাত্র সংগঠনের হাজার দুয়েক সদস্যের মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছয়। ছাত্রদের আইন-অমান্য প্রদর্শনের জন্য ওই রাস্তার একটি অংশ ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রাস্তার অন্য দিকেও চলে যান। তার জেরে রাস্তার ওই অংশেও থমকে যায় যান চলাচল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধর্মতলা চত্বরে সমাবেশ-মিছিলের জেরে যানজটের রেশ ছড়ায় কলেজ স্ট্রিট, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটেও। বিকেল ৩টে থেকে রানি রাসমনি রোডে বামফ্রন্টের সভা শুরু হয়। তৃণমূলের সভা ওই সময়ে প্রায় শেষের মুখে। ধর্মতলা চত্বরে তখনও শম্বুক গতি। |