বদলে যাওয়া ভারতের গাড়ি বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল জাপানি সংস্থা হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া। যখন বাজারে ডিজেল গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে, তখন তাদের ভাঁড়ারে কোনও ডিজেল গাড়িই ছিল না। ঘুরে দাঁড়াতে এ দেশে আরও ২৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করে কারখানা সম্প্রসারণের কথা মঙ্গলবার জানালেন সংস্থার কর্তারা। যার মূল লক্ষ্য ডিজেল গাড়ি ও ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ তৈরি।
রাজস্থানের তাপুকারার কারখানায় ওই লগ্নির লক্ষ্য যে দীর্ঘমেয়াদি, তা এ দিন হোন্ডা মোটর কোম্পানির ম্যানেজিং অফিসার ওয়াই মাৎসুমোতো এবং এ দেশে সংস্থার শীর্ষ কর্তা এইচ কানাইয়ামার কথায় স্পষ্ট। মাৎসুমোতো বলেন, “ভারত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তিন বছরে ৫টি নতুন গাড়ি আনব।” আর কানাইয়ামা বলেন, “ডিজেল গাড়ির বাজারে পা রেখে আমরা ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে হাঁটতে চলেছি।”
আগামী ১১ এপ্রিল সংস্থার প্রথম ডিজেল গাড়ি ‘অ্যামেজ’ বাজারে আসছে। সংস্থার দাবি, সেই গাড়িতে যে-নতুন ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে, তাতে গাড়িটি লিটার পিছু ২৫.৮ কিলোমিটার যেতে সক্ষম।
তাপুকারার নতুন কারখানাটি চালু হবে ২০১৪-তে। সেখানে বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার গাড়ি তৈরি হবে। সেই সময়ে সংস্থার দুই কারখানার (অন্যটি বৃহত্তর নয়ডা) মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ২ লক্ষ ৪০ হাজার (বার্ষিক)। তাপুকারায় একটি ফোর্জিং কারখানাও চালু করবে সংস্থা। সংস্থার দাবি, কারখানা পুরোপুরি চালু হলে প্রায় ২২০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। |