দূরত্ব ক্রমশ কমছিলই। তিক্ততা সরিয়ে এ বার ব্যবসার ক্ষেত্রেও হাত মেলালেন মুকেশ ও অনিল অম্বানী। বাবা ধীরুভাই অম্বানীর মৃত্যুর পর ব্যবসা সাম্রাজ্য ভাগাভাগির পরবর্তী সময়ে এই প্রথম।
মঙ্গলবার অনিলের রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আর-কম) সঙ্গে ১,২০০ কোটি টাকার চুক্তি সই করল মুকেশের রিলায়্যান্স জিও ইনফোকম। ওই চুক্তি অনুযায়ী, তথ্য বওয়ার জন্য আর-কমের ১.২ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবে জিও ইনফো। ভবিষ্যতে নতুন কেব্ল পাতা হলে, তা-ও ব্যবহার করবে তারা। তেমনই তথ্য পাঠাতে মুকেশের সংস্থা পরে কোনও পরিকাঠামো গড়লে, তা ব্যবহার করবে আর-কমও। |
|
|
অনিল অম্বানী ও মুকেশ অম্বানী। |
|
অনেকে অবশ্য মনে করছেন, এই চুক্তি আসলে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। কারণ, আগামী দিনে টেলি ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো ভাগাভাগি করে ব্যবহারের পথ চুক্তিতে খুলে রেখেছে দুই সংস্থাই। তাই তাঁদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে অনিলের টেলি টাওয়ার সংস্থা রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের পরিকাঠামোও ব্যবহার করতে পারে জিও ইনফো। কিনতে পারে শেয়ারও।
২০১০ সালের জুনে ইনফোটেল ব্রডব্যান্ডকে (এখন নাম জিও ইনফো) কেনার কথা ঘোষণা করে মুকেশের রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সে বার স্পেকট্রাম নিলামে এক মাত্র সংস্থা হিসাবে দেশের ২২টি সার্কেলেই পরিষেবার অধিকার পেয়েছিল যারা।
এ দিন অম্বানী ভাইদের ব্যবসায়িক বোঝাপড়ায় খুশি শেয়ার বাজার। আর-কমের দর বেড়েছে ১১%। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রায় ৩৭,৩৬০ কোটি টাকা দেনা ঘাড়ে চেপে থাকা আর-কমের কাছে এই চুক্তি নিঃসন্দেহে সুখবর। তেমনই অনিলের সংস্থার পরিকাঠামো ব্যবহার করে এ বার ফোর-জি পরিষেবা শুরু করতে পারবেন মুকেশও। ব্যবসার এই ‘সহজ সমীকরণ’ই দুই ধনকুবের ভাইকে চুক্তির টেবিলে টেনে আনল বলে মনে করছেন তাঁরা। |