ছোট্ট শিশুর গলায় ছুরি ধরে খুন করার ভয় দেখিয়ে এক বধূকে ধর্ষণ করেছিল এক যুবক। মঙ্গলবার এগারো মাসেরও কম সময়ে ধর্ষণের সেই মামলার রায় ঘোষণা করল সিউড়ির চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালত। সিউড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী বলেন, “এ দিন বিচারক প্রথম পর্বে রাই চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্ত মারফত শেখকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেন। দ্বিতীয় পর্বে তিনি দোষীকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দু’ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ ছ’মাস বাড়বে।”
তিনি জানিয়েছেন, গত বছর ৭ মে দুপুরে জলতেষ্টা পেয়েছে বলে সিউড়ির একটি গ্রামের ওই বধূর কাছে সাহায্য চেয়েছিল মারফত। ঘটনার সময়ে বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ওই বধূ সরল মনে ভেতরের ঘর থেকে জল আনতে চলে যান। তপনবাবু বলেন, “তিনি ফিরে এসেই দেখেন, মারফত তাঁর শিশুর গলায় ছুরি ধরে আছে। শিশুকে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোর জবরদস্তি করে ওই বধূকে ধর্ষণ করে।” ধর্ষণ করে পালাবার সময়ে মারফত বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে বাড়ির বেশ কিছু সামগ্রীও চুরি করে নিয়ে পালায়। সে বাড়ির বাইরে যেতেই ওই বধূ চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে বাড়ির পাশেই সিউড়িগামী একটি বাস দাঁড়িয়ে পড়ে। বধূর চিৎকারে কয়েকজন বাসযাত্রী নেমে পড়ে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন।
এ দিন রায় শোনার পরে ওই বধূ বলেন, “এত তাড়াতাড়ি মামলার রায় বেরিয়ে যাবে আশা করিনি। এই সাজায় আমরা খুশি। তবে ওই দুষ্কৃতীর আরও কঠোর শাস্তি হলে বেশি খুশি হতাম।” অন্য দিকে, বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর ও বিচার ব্যবস্থা সকলের সত্রিয়তাতেই এত অল্প সময়ের মধ্যে এরকম একটি ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হল।” অভিযুক্তের আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর মক্কেল উচ্চ আদালতে যাবেন। |