সম্প্রতি পেশ করা পুরবাজেটে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিলেন তিন তৃণমূল কাউন্সিলর। এই তিনজন হলেন বিরোধী দলনেতা সমীর রায়, রত্না রায় ও খন্দোকার মহম্মদ সাহেদুল্লাহ। বাজেটের দশ দফা অসঙ্গতির কথা তাঁরা পুরপ্রধানকেও জানিয়েছেন।
এই তিন কাউন্সিলরের অভিযোগ, বাজেটে পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা টাকার সুদের কোনও হিসেব দেওয়া হয়নি, বাসস্ট্যান্ড বা হকার মার্কেট থেকে প্রাপ্ত আয়ের উল্লেখ করা হয়নি। তাঁরা জানান, ঠিক সময়ে বাজেটের খসড়াও পাঠানো হয়নি বিরোধী কাউন্সিলারদের কাছে। এভাবে বিরোধী ও বর্ধমানের মানুষদনকে ধোঁয়াশায় রাখা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। পুরসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, “চলতি বছর জুলাই মাসে বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে গোটা বছরের বাজেট পেশ করার অধিকার নেই পুরবোর্ডের। ফলে এই বাজেটকে বাতিল করে পুরবোর্ডের তরফে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করা হোক।”
পুরপ্রধান আইনূল হক বলেন, “আমরা বাজেটে পুরসভার সম্পূর্ণ আয় ও ব্যায়ের হিসেব দিয়েছি। ওই কাউন্সিলরদের বলেছি, সমস্ত হিসেব আমাদের অ্যাকাউন্টস দফতরে রাখা রয়েছে। তাঁরা দেখে নিতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের ১২টি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট নেওয়া হবে। কোথাও কোনও পুরসভা ক্ষমতায় থাকবে না বলে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করেনি। তৃণমূলের দখলে থাকা গুসকরা পুরসভাও তা করেনি।” বাজেটের কপি রাজ্য মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স দফতরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ দিন ওই স্মারকলিপিতে পুরসভার পাঁচ কাউন্সিলরের সই থাকলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোকন দাস ও ২৫ নম্বরের কাউন্সিলার শঙ্করী ঘোষ ছিলেন না। খোকনবাবুর অনুগামীরা জানান, ৫ এপ্রিল তিনি পুরবাজেটের বিরুদ্ধে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন। তাই তিনি বা শঙ্করীদেবী এদিন উপস্থিত ছিলেন না। তবে সমীরবাবু বলেছেন, “খোকন অন্যত্র ব্যস্ত। শঙ্করীর শরীর খারাপ। তাই ওঁরা হাজির ছিলেন না। তবে ৫ তারিখের কর্মসূচিতে আমাকে ডাকলে আমি যোগ দেব।” |