রান্নার পর উনুনের ছাই বাড়ির বাইরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসী। তা উড়ে গিয়ে আগুন ধরে যায় ওই পরিবারের খড়ের গাদায়। আগুন ছড়িয়ে যায় পাশের বাড়িতে। নিমেষের মধ্যে গ্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চাঁচল থেকে দমকল ছুটে এসে আগুন নেভানোর আগেই গ্রামের ১২৫ পরিবারের ২০০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সোমবার তিনটে নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা পঞ্চায়েতের দাঙিলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, পরনের কাপড় ছাড়া গ্রামের ওই পরিবারগুলির কিছ বাঁচাতে পারেননি। শস্য থেকে শুরু করে ঘরের আসবাব সবই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। চোখের সামনে আগুনে সর্বস্ব খুইয়ে গ্রামের বাসিন্দারা পথে বসে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা গিয়েছেন। |
মালদহের তুলসীহাটার দাঙিলা গ্রামে জ্বলছে বাড়ি।—নিজস্ব চিত্র। |
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জলের অভাবে আগুন নেভাতে হিমসিম খেতে হয়। ১২৫ পরিবারের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে।” মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে। ত্রিপল, শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।”
ওই গ্রামে ৩৫০ পরিবারের বাস। বেশিরভাগ বাসিন্দাই দিনমজুর, কৃষক। অধিকাংশ বাড়ি মাটি, বাঁশের দেওয়াল উপরে টালি, খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি। প্রতি দিনের মত গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ কাজে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার কিছু পরে গ্রামের মহিলাদের চিৎকার চেঁচামিচি শুনে আশেপাশে জমিতে যাঁরা ছিলেন তাঁরাই প্রথম ছুটে আসেন। ২০ কিমি দূরে চাঁচল থেকে আসে একটি ইঞ্জিন। সেটির জল শেষ হয়ে যায়। পুলিশ ও গ্রামবাসীরা চেষ্টা করলে ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
|
অল্পের জন্য বড়সড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল কোচবিহার জেলা বিপর্যয়
মোকাবিলা দফতর। সোমবার সাগরদিঘি
পাড়ের দফতর চত্বরের সামনে রাখা
একটি নৌকায় আগুন লাগে। চারদিক ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। কর্মীদের মধ্যেও
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে
মিনিট দশেকের চেষ্টায় আগুন নেভায়।—নিজস্ব চিত্র। |
|