নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আলু কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তথা জলপাইগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার জেল হাজতে গোবিন্দবাবু একাধিক পানীয় জলের বোতল নিয়ে ঢোকেন বলে অভিযোগ। আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের নির্দেশ না-থাকলে এ সব নিয়ে কেউ জেলে ঢুকতে পারেন না। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ রফি অবশ্য জানিয়েছেন, বিচারক এ দিন জলের বোতল নিয়ে জেলে ঢোকার অনুমতি দেননি গোবিন্দবাবুকে। আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগারের সুপারিনটেন্ডেন্ট স্বপনকুমার ঘোষ অবশ্য বলেন, “জেলে ঢোকার সময় তিনি ছিলেন না। তবে জলের বোতল নিয়ে যেতে কোনও নিষেধ নেই।”
এ দিন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালাতের বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য গোবিন্দবাবুকে ৯ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। আলু কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত গোবিন্দবাবু গত ২৬ মার্চ আলিপুরদুয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই সময় বিচারক তাঁর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। |
সরকারি আইনজীবী মহম্মদ রফি জানান, অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালাতের বিচারক গোবিন্দবাবুর জামিনের আবেদন এ দিন নাচক করে দিয়েছেন। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে ৯ এপ্রিল কেস ডায়েরি তলব করেছেন। গোবিন্দবাবুর আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ৯ এপ্রিল ফের তাঁরা জামিনের আবেদন করবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে আলুর অতিরিক্ত ফলন হওয়ায় অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহকারী দফতর কৃষকদের থেকে সরাসরি আলু কেনার জন্য জলপাইগুড়ির নবদিগন্ত সমবায়কে নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, সেই সময় ওই সমবায়ের চেয়ারম্যান ছিলেন গোবিন্দবাবুর স্ত্রী সবিতা দেবী। গোবিন্দবাবু জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি স্ত্রীর সমবায়কে আলু কেনার জন্য ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ঋন পাইয়ে দেন। অথচ কৃষকদের থেকে আলু না কিনে ভুয়ো ‘মাস্টার রোল’ তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই প্রতারণা ও সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে গত বছর মার্চ মাসে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর দলেরই কর্মী অলোক রায়। ঘটনার পর থেকে গোবিন্দবাবু এবং তাঁর স্ত্রী পালিয়ে যান। কিছুদিন আগে সবিতাদেবী আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। |