নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
জিটিএ-র প্রধান সচিব পদ থেকে দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে সরিয়ে কাকে নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে সুর চড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার জিটিএ-এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডনবস্কো লেপচা ওই চিঠিতে লিখেছেন, বিমল গুরুঙ্গের নির্দেশক্রমে তিনি জানাচ্ছেন, প্রধান সচিব হিসেবে কাকে নিয়োগ করা হবে তা ঠিক করার আগে অন্তত কয়েকটি নাম দিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করে জিটিএ-র কাছে পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই চিঠিতে তিনি লিখিত ভাবে জানান রাজ্যের প্রস্তাবিত নাম অমরেন্দ্রকুমার সিংহকে প্রধান সচিব পদে মানবে না জিটিএ।
সরকারি সূত্রের খবর, মোর্চার চিঠি পেলেও তা নিয়ে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহে মোর্চার দাবি মেনে রাজ্য কিছুটা সুর নরম করে জিটিএ-এর প্রধান সচিব পদ থেকে সৌমিত্র মোহনকে সরিয়ে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অমরেন্দ্রকুমারকে বসানোর প্রস্তাব দেয়। মোর্চা তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আমরা তো গোড়া থেকেই বলছি, জিটিএ চিফের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান সচিব পদে কাকে বসানো হবে তা ঠিক করতে হবে। জিটিএ চুক্তিতে তা রয়েছে। সেটা রাজ্য সরকার করছে না কেন জানি না।”
সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্য কিন্তু এখন আর সুর নরম করতে নারাজ। রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ অফিসার জানান, জিটিএ চুক্তিতে অনেক কিছু রয়েছে। তবে জিটিএ আইন যখন বিধানসভায় পেশের আগে সর্বসম্মতি ক্রমে অনেক কিছুই সংশোধনও করা হয়েছে। সরকারি সূত্রটির দাবি, জিটিএ আইনে কিন্তু প্রধান সচিব নিয়োগের আগে প্যানেল পাঠানো কিংবা জিটিএ চিফের সঙ্গে আগাম আলোচনা আবশ্যক নয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের মন্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের পরিস্থিতির ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিবহাল। তিনি পাহাড়ের উন্নয়নে গতি এনেছেন। কোনও অবস্থায় তিনি তাতে বিঘ্ন ঘটতে দেবেন না।”
জিটিএ ও মহাকরণের মধ্যে চিঠি চালাচালির পাশাপাশি পাহাড় ও ডুয়ার্সে মোর্চার সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বাঁধছে তৃণমূলও। রবিবার দার্জিলিঙে মোর্চা নেতা সহ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই দিনও ডুয়ার্সে মোর্চার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ওদলাবাড়ি ও বাগরাকোটের দু’টি এলাকায় সভা করেন মন্ত্রী গৌতমবাবু। সেখানে মোর্চার পঞ্চায়েত সদস্য সহ ১৪ জন তৃণমূলে
যোগ দেন। আগামী ৮ এপ্রিল কালিম্পঙে বড় মাপের সভার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। সে দিন দলের সর্বভারতায়ী সম্পাদক মুকুল রায়ের সেখানে থাকার কথা। |