আগাম জামিন পেলেন ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান পরিতোষ অধিকারি। পঞ্চায়েতের একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আথিক গড়মিলের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সোমবার পরিতোষবাবু-সহ দুই পঞ্চায়েত কর্মী বারসত জেলা আদালত থেকে জামিন নেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনের হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানান মিহির দাস, প্রীতিশ দাশগুপ্ত ও চন্দন রায় নামে তিনি আইনজীবী। সরকার পক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। আইনজীবী মিহির দাস বলেন, “বিচারক তিনজনেরই ৫ হাজার টাকার বন্ডে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বনগাঁর বিডিও সুশান্ত বসু বনগাঁ থানায় পরিতোষবাবু-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ মামলা রুজু করলেও পরিতোষবাবু গ্রেফতার হননি। প্রধানকে পলাতক ঘোষণা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মাইকে করে প্রচারও করেছিল। অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতে।
পরিতোষবাবুকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দিতে এসে থানা ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতেও। গ্রেফতার হন কিছু তৃণমূল নেতাকর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই রায়ে খুশি স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএম নেতা গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূল ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের প্রধানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। এই রায়ে সেটাই প্রমাণিত হল। ”
বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। তবে আগাম জামিন পাওয়ার অর্থ এই নয় যে ওরা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল।” তৃণমূল নেতাদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কোনও চেষ্টাই করেনি। |