...আজ থেকে রণবীর কপূর আমার ইউনাইটেড সিকিম-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে গেল। রণবীর নিজে ফুটবল খেলতে খুব ভালবাসে। কয়েক দিন আগে বিরাট কোহলির ডাকা একটা চ্যারিটি ম্যাচে দিল্লিতে রণবীর খেলল। ওই ম্যাচটায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে দারুণ একটা গোলও করেছে। বেশ কয়েকটা চ্যারিটি ম্যাচে রণবীরকে ভাল ফুটবল খেলতে দেখেছি। এই মুহূর্তে বলিউড স্টারদের মধ্যে তিন জনের ফুটবল নিয়ে খুব উৎসাহ। রণবীর কপূর। অভিষেক বচ্চন। জন আব্রাহাম। অভিষেকের সঙ্গে যে ক’বার কথা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে ফুটবলের প্রতি ওর দারুণ প্যাশন। আর রণবীর তো নিয়মিত রাত জেগে বার্সেলোনার সব খেলা দেখে। কার ফ্যান তা আর বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। ইউনাইটেড সিকিমের ফ্যানদের জন্য রণবীর একটা ভিডিও মেসেজ-ও রেকর্ড করেছে। তবে এ বারের আই লিগে ওকে সিকিমে খেলা দেখতে আনতে পারব না।
আর মুম্বইতেও খেলা নেই যে ও মাঠে গিয়ে আমাদের ফুটবলারদের চিয়ার করবে। আমাদের মতো ফুটবল টিমের সঙ্গে বলিউড স্টার যুক্ত হলে প্রচুর সুবিধা। ফুটবল আমাদের দেশে এখনও এগোচ্ছে। ক্রিকেটের মতো জায়গায় নেই। রণবীর কপুরের মতো বলিউড তারকারা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মানে শুধু আমরা নই, ভারতীয় ফুটবলও উপকৃত হবে। ইদানীং বলিউড স্টারদের সঙ্গে ক্রিকেটার এবং ফুটবলারদের সামাজিক আর পেশাদার সংযোগ প্রায়ই তৈরি হচ্ছে। |
হয় এনডোর্সমেন্টের জন্য, না হলে চ্যারিটি ম্যাচগুলোতে আমাদের মধ্যে দেখা হয়েই যাচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েক জন খেলাধূলা নিয়ে এতটাই প্যাশনেট যে প্রিয় খেলায় নেমে পড়ার একটা সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। যেমন, লিয়েন্ডার পেজ ফুটবল ম্যাচ শুনলে মাঠে নেমে পড়বেই। ক্রিকেট নিয়ে একই অবস্থা সুনীল শেট্টির। শাহরুখ খানকে আমি অবশ্য এর মধ্যে ধরব কি না নিশ্চিত হতে পারছি না। কারণ, আইপিএল-এর সঙ্গে একটা ব্যবসায়িক দিকও জড়িত।
এই মুহূর্তে আমি দিল্লিতে। সেখানে বসেই মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা টিভিতে চোখ রাখব। গোটা ভারত মঙ্গলবার কলকাতায় নেমে আসবে। যতই সিকিমের ছেলে হই, যে শহর আমাকে নাম, খ্যাতি পরিচয় দিয়েছে সেই শহরের ওপর মঙ্গলবার সবার চোখ থাকবে জেনেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। রণবীর আমার আজকের দিনটা স্মরণীয় করে দিল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের চুক্তিটা সই করে। আশা করি, মঙ্গলবারটাও আমার প্রিয় শহর কলকাতার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে...।’
|