আইপিএল ৬-এর প্রোমোতে তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও।
তবে তাঁর ভক্তকুূল কিন্তু আশায় বুক বেঁধে আছে যে, এক বার আইপিএল শুরু হলে অর্চনা বিজয়াকে সেট ম্যাক্স চ্যানেলের এক্সট্রা ইনিংস শো-এর সহকারী সঞ্চালক হিসাবে নিশ্চয়ই আবার দেখতে পাওয়া যাবে।
এ কথা ইতিমধ্যেই প্রচলিত যে, ২০১২ সালের মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল জয়ী রোসেল মারিয়া রাও এবং ‘বিগ বস ৬’-এর প্রতিযোগী করিশমা কোটাক এ বার সমীর কোচার আর গৌরব কপূরের সঙ্গে এই শো সঞ্চালনা করতে চলেছেন।
শো থেকে অর্চনা বিজয়া বা শিবানী দন্ডেকর বাদ পড়লেন কেন?
কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে কানে আসবে নানা কথা। অনেকেরই মতে যুদ্ধটা আসলে টিভি চ্যানেলগুলোর ভিতরে। সেখানে কে কত যোগ্য সঞ্চালক সেটা একেবারেই গৌণ। একটি সূত্রের মতে, “বিভিন্ন সেলিব্রিটি শো নিয়ে চ্যানেলগুলোর মধ্যে লড়াই চলতেই থাকে। আইপিএল ৫-এর চুক্তি শেষ হওয়ার পরে অর্চনা ‘ঝলক দিখলা যা ৫’-এ অংশ নিয়েছিলেন। সোনির সঙ্গে অর্চনার সে রকম কোনও লিখিত চুক্তিপত্রও ছিল না যে ওই চ্যানেলের বাইরে আর কোনও চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া চলবে না। তবে ‘ঝলক দিখলা যা’ আগে সোনির নিজস্ব অনুষ্ঠান ছিল, পরে যেটা হাত বদল হয়ে কালার্স চ্যানেলের কাছে চলে আসে। কালার্সের সঙ্গে সোনির যে প্রতিযোগিতার সম্পর্ক, তা তো সবার জানা। আর ঠিক সেখানেই সমস্যার শুরু। কেউ যদিও সরাসরি বলবে না যে শো-এ নতুন মুখ আসার পিছনে এটাই আসল কারণ। তবে যাঁরা টেলিভিশন জগতের লোক, তাঁরা ব্যাপারটা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন।” |
তবে চ্যানেলে-চ্যানেলে এই দ্বন্দ্বের কথা স্রেফ উড়িয়ে দিলেন সোনি সিক্স চ্যানেলের ক্রিয়েটিভ পরিচালক অলকা গুহ। তাঁর কথায়, “সমীরও তো অন্য চ্যানেলের জন্য শো করেছে। কিন্তু ও তো আমাদের সঙ্গে সেই প্রথম থেকে এখনও পর্যন্ত রয়েছে।”
অলকার মতে গৌরব আর সমীর ‘এক্সট্রা ইনিংস’ শো-টার একটা অংশ হয়ে গিয়েছে। গৌরব যদিও আইপিএল-এর দ্বিতীয় সিজন থেকে শো-এ এসেছিলেন, তাঁকে কিন্তু প্রথম বারই অফার দেওয়া হয়েছিল। “আসলে আমরা চাই শো-এ একটা তরতাজা ভাব থাকুক। বয়সটা এখানে কোনও ব্যাপারই নয়। গৌরব আর সমীর ক্রিকেটটা খুব ভাল জানে। আর এন্টারটেনমেন্ট দুনিয়াটাকেও বোঝে। শো-তে মহিলা সঞ্চালকদের কাজটা মূলত দেশের গড়পড়তা ক্রিকেট অনুরাগীর প্রতিনিধিত্ব করা। খেলা সম্পর্কে যদি তাঁদের একটু জ্ঞান থাকে তা হলে তো কথাই নেই। তবে তাঁদের টেলিভিশন প্রেজেন্সটা দুর্দান্ত হওয়া চাই। সঙ্গে একটা এক্স ফ্যাক্টর থাকাও জরুরি। রোসেলের বয়সটা কম, খেলা সম্পর্কেও আগ্রহ রয়েছে। আর করিশমাকে লোকে ‘বিগ বস’-এ দেখেছে। একটা ‘স্টার কোয়ালিটি’ রয়েছে ওঁর মধ্যে,” বলছিলেন অলকা।
আইপিএল-এর যাঁরা দীর্ঘ দিনের দর্শক তাঁরা জানেন যে, দ্বিতীয় মরসুমে মন্দিরা বেদী আর মেইয়াং চ্যাংকে আনা হয়েছিল সঞ্চালক হিসাবে। অলনা বলছিলেন, ‘‘তৃতীয় মরসুমে কিন্তু কোনও মেয়ে ছিল না। সঞ্চালক হিসেবে গৌরবদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল আয়ুষ্মান খুরানা আর অঙ্গদ বেদীকে। অর্চনা আর শিবানীকে আইপিএল-এর চতুর্থ আর পঞ্চম মরসুমে আনা হয়েছিল।”
তবে আইপিএল-এর সঞ্চালকদের সঙ্গে চ্যানেলের চুক্তি হয় সাধারণত এক বছরের জন্যই। বছর বছর তাঁরা যে সঞ্চালনা করতে পারবেন এমন কথা আইনত কখনওই বলা হয়নি। তবে এ বার গৌরব আর সমীরের সঙ্গে আরও দু’টো সিজনের জন্য চুক্তি করা হয়েছে।
সোমবারে অর্চনা হায়দরাবাদ সানরাইজার্স দলের কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং-এ ব্যস্ত ছিলেন। শুটিংয়ের ফাঁকে বলেন, “এই মুহূর্তে বিভিন্ন কাজে খুবই ব্যস্ত আছি। আইপিএল টিমকে আমার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল।”
তবে বহু বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও শিবানী কিন্তু শেষমেশ ফোন ধরেননি। |