টুকরো খবর
কুকুরের প্রাপ্তি
ভাগ্য খুলেছে ঝুলিকের। বেলারুসের গ্রাম বুডোঝকার এই কুকুরটি এখন ১০ লক্ষ ডলারের মালিক। উইল করে তাকে এই অর্থ দিয়ে গিয়েছেন প্রয়াত মার্কিন নাগরিক জন ফিয়োদোরভ। বুডোঝকাতেই জন্ম জনের। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকায় চলে যান তিনি। পরে এক বার গ্রামে বেড়াতে এসে ঝুলিকের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ঝুলিকের মালিক ভ্যাসিলি পোটাপভ জানিয়েছেন, ঝুলিককে দেখে নিজের কুকুরের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল জনের। ভালোবেসে ফেলেন বেলারুসের এই কুকুরটিকে। জনের উইল মেনে এখন বেলারুসে ঝুলিকের জন্য বিশেষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন জনের আইনজীবীরা। বছরে এক বার পৃথিবীর যে কোনও দেশে বেড়াতে যাওয়ারও অধিকার আছে ঝুলিকের।

ফের গণপ্রহারে হত চিতাবাঘ
তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ফের একটি চিতাবাঘকে হত্যা করল গ্রামবাসীরা। গত কাল সন্ধ্যায়, যোরহাটের লিচুবাড়ির ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন মাস আগে শাবক-সহ দু’টি চিতাবাঘ বাঘচোং অঞ্চলে হাজির হয়। মাঝে মধ্যেই চিতাবাঘের সামনে পড়ে গ্রামবাসীরা জখম হচ্ছিল। তাদের অভিযোগ, বন বিভাগকে বলেও চিতাবাঘ ধরার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গত কাল গ্রামবাসীরাই চিতাবাঘ ধরতে দল বেঁধে অভিযান চালান। জঙ্গলে টানা তিন ঘণ্টা চিতাবাঘ ও মানুষের চোর-পুলিশ খেলা চলে। এর মধ্যেই চিতাবাঘের থাবায় জখম হয় চার গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় একটি চিতাবাঘকে ঘিরে ফেলে তারা। অস্ত্রের আঘাতে ১০ বছর বয়সী পুরুষ চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়। পরে বন বিভাগ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। গ্রামবাসীদের দাবি, আরও একটি বাঘিনী এলাকায় রয়েছে। তারা হুমকি দিয়েছে, বাঘিনী ও শাবকদের অবিলম্বে পাকড়াও করে অন্যত্র না নিয়ে গেলে তাদেরও পিটিয়ে মারা হবে। এই নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসেই রাজ্যে ১০টি চিতাবাঘ জনরোষের শিকার হল।

আগুন চিতাবাঘের এনক্লোজারে
সোমবার আগুন লাগে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি রেসকিউ সেন্টারে। তিনটি চিতাবাঘের কোনও
ক্ষতি হয়নি। বনকর্মী ও দমকলের উদ্যোগে আগুন নেভে।—নিজস্ব চিত্র।
ট্রেজারি আইনের কোপে পড়ে বন দফতরের ভাঁড়ারে টাকা নেই। জঙ্গলে আগুন লাগা রুখতে গত শীতে তাই তৈরিই হয়নি ‘ফায়ার লাইন’। বিক্ষিপ্ত ভাবে উত্তরবঙ্গের নানা জঙ্গলেই তাই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। সেই তালিকায় শেষ সংযোজন ডুয়ার্সের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি রেসকিউ সেন্টার। সোমবার দুপুরে এখানকার চিতাবাঘের এনক্লোজারে আগুন লাগে। গত ডিসেম্বর মাসে গরুমারা থেকে আনা মিঠুন, গোবিন্দা, গণেশ নামে তিনটি চিতাবাঘকে রেসকিউ সেন্টারে ছাড়া হয়েছিল। এ দিন আগুনের ভয়ে মিঠুন চড়ে বসে শাল গাছের ডালে। গোবিন্দা ও গণেশ ছোটাছুটি করতে শুরু করে। আগুন নিভতে তারা শান্ত হয়। টানা বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে কাঠ গোটা এলাকা। ঢাড্ডা, পুরন্ডি ঘাসও শুকিয়ে গিয়েছে। দমকল কর্মীদের সন্দেহ, ওই কারণেই আগুন সহজে ছড়িয়ে পড়ে। কোচবিহারের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “যে কোনও সময় বাঘ আক্রমণ করতে পারে জেনেও সময় মত বনকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।” বিপদ এড়াতে বনকর্তারা মঙ্গলবার থেকে লোহার জালের ভেতর থেকে শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন।

কারখানাই ‘নন্দ ঘোষ’ দাবি বোটানিক্যালের
বটানিক্যালে মাছ মরার ঘটনার তিন দিন পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে যুগ্ম অধিকর্তা হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ জানালেন, এর জন্য লাগোয়া একটি কারখানা কর্তৃপক্ষই প্রধানত দায়ী। তাঁর দাবি, ২০১১ সালে ওই কারখানার দূষিত জল সাধির লেকে পড়ছে দেখে তাঁরা অভিযোগ জানান। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে কারখানাটি বন্ধ হলেও দু’মাস পরে ফের খোলে। মাছ মরার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁরা দেখেন ওই কারখানা অন্য পথে দূষিত জল ঝিলে ফেলছে। এত দিনে বিষয়টি নজরে এল কেন? সাংবাদিক সম্মেলনে তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তও বলেন, “বটানিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণের অঙ্গ হিসেবে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল দূষিত জল ফেলার বিষয়টি নজরে রাখা। এতদিন পরে কেন বলছেন? মাছ মরার বিষয়টি আদালতে জানিয়েছি।” আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি।

পুরনো খবর:
হাতির হানা, মৃত ২
হাতির হানায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। লখিমপুরের ডোলোহাট এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও বন বিভাগ সূত্রে খবর, হারমোতি রেঞ্জ থেকে বার হয়ে ৬০টি হাতির একটি দল ধেমাগড় ও দলহাট অঞ্চলে ঘুরছে। গত কাল রাতে এক বৃদ্ধা হাতির দলের সামনে পড়েন। পালাতে গেলে হাতিরা তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। নাওবৈচা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। একই গ্রামের দিনমজুর, গজবাহাদুর রাই কাজ সেরে ফেরার পথে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান। হাতিরা বেশ কিছু কাঁচা বাড়িও ভেঙেছে।

হরিণের মৃত্যু
ট্রাকের ধাক্কায় হরিণের মৃত্যু হল। সোমবার সন্ধ্যায় মাদারিহাট থানা এলাকার খয়েরবাড়ি জঙ্গলের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.