বেড়ে চলা দূষণ ও যানজটে নাকাল দশা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের বাসিন্দাদের। ফুটপাত দখল করে গজিয়েছে দোকানপাট। যত্রতত্র দাঁড়াচ্ছে মালবাহী ছোটগাড়ি ও ট্রাক। অভিযোগ উঠেছে দিনের পর দিন ওই পরিস্থিতি চললেও পুরসভা এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “জবর দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বালুরঘাটের ডেপুটি পুলিশ সুপার উত্তম ঘোষ বলেন, “শহরে বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি পার্কিংয়ের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও পূর্ত ও পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জবরদখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলে সব রকম সাহায্য করা হবে।” |
বালুরঘাটে নিত্যদিনের সমস্যা যানজট।—নিজস্ব চিত্র। |
শহরে কাছারি রোডে অফিসপাড়া থেকে বিশ্বাসপাড়া মোড়। ডানলপ মোড় থেকে সাধনা মোড় এলাকায় রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। শহরের প্রধান বাজার আবর্জনায় ভরা। পুরসভার রাস্তায় চলতে সমস্যায় পড়েছেন পথচারীরা। অভিযোগ, দূষণ বেড়ে চললেও দেখার কেউ নেই। রাস্তাকে দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে লাভ হয়নি। অথচ একদিকে যেমন ফুটপাত উধাও হয়েছে। তেমন বড় রাস্তা দখল করে মাল নামানো, গাড়ি দাঁড়ানোয় যানজট ও দুর্ঘটনা সেগেই থাকে। গত এক বছরের ওই এলাকায় দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছে। এর পরেও বিশ্বাসপাড়া এলাকায় মোড়ের দু’দিকে পেট্রোল পাম্পের সামনে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, বাম জমানা শুরুর আগে থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট পুরসভা আরএসপি দখলে। ওই দলের প্রচ্ছন্ন মদতে শুধুই শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় নয়, ফুটপাত দখল করে দলীয় বিভিন্ন গণ সংগঠনের কার্যালয় গজিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, “বিশ্বাসপাড়া, দিপালীনগরে আরএসপির মদতে ফুট পাত দখল করে দলীয় অফিস গড়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলি দখল মুক্ত করতে জেলাপ্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।” যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বাজার এবং ফুটপাতে দখলদারদের বিরুদ্ধে পুরসভা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাস্তায় আবর্জনা ফেলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তার পরেও ব্যবসায়ীদের একাংশ নিষেধাজ্ঞা মানছেন না।” |