একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে কোথাও পালিত হল বসন্ত উৎসব। আবার বসন্ত উৎসবের ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বজায় রেখে কোথাও শুরু হল মেলা।
রবিবার আলোর রোশনাইয়ের মধ্যে দিয়ে মাকড়দহে শুরু হয়েছে পঞ্চম দোল উৎসব ও মেলা। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু প্রাচীন এই পঞ্চম দোল হল মাকড়দহের মাকড়চণ্ডী দেবীর বাৎসরিক উৎসব। দোলযাত্রার পাঁচ দিনের মাথায় এই উৎসব শুরু হয় বলেই এর নাম পঞ্চম দোল। উৎসবের দ্বিতীয় দিন, সোমবার ভোরে অন্যান্য বছরের মত এ বছরেও মন্দির প্রাঙ্গণে ‘দেবদোলে’ মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন মেলা প্রাঙ্গণে। উৎসবের বিভিন্ন দিন থাকছে নাটক, গান-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পরোক্ষ হলেও দোলের অনুষঙ্গে যেমন শুরু হয়েছে মেলা, তেমনই দোলের আগের দিন থেকেই হাওড়ার দিকে দিকে শোনা গিয়েছে বসন্তের আবাহন।
জগৎবল্লভপুরের নস্করপুরে রাধাকৃষ্ণের আটচালায় পালিত হয় দোল উৎসব। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩০ বছর আগে এই গ্রামে বসন্ত কালে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন থেকেই শুরু হয় রাধাকৃষ্ণের পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছরই এখানে পালিত হয় দোল। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
উদয়নারায়ণপুরে স্থানীয় গড়ভবানীপুর সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে পালিত হয় বসন্ত উৎসব। নাচ, গানে জমে ওঠে সমগ্র অনুষ্ঠান। বাগনানের বাইনান গ্রামে প্রয়াস শিক্ষা নিকেতনের উদ্যোগে পালিত হয় রঙের উৎসব। কোনার স্থানীয় এক নৃত্য প্রশিক্ষণ সংস্থার উদ্যোগে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ এর সুরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন সংস্থার ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বসন্ত এখনও জাগ্রত দ্বারে। |