দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক প্রোমোটার। রবিবার রাতে লিলুয়ার গুহ পার্কের ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, দাবিমতো টাকা না দেওয়ায় পরিচিত এক যুবক
এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহতের নাম শ্যাম রায় (৩৮)।
পুলিশ সূত্রের খবর, লিলুয়ার পান্নালাল বসাক লেনের বাসিন্দা শ্যাম সম্প্রতি প্রোমোটিং শুরু করেন। কিছু জায়গায় ফ্ল্যাট তৈরির পাশাপাশি মাখন সেনগুপ্ত নামে আর এক প্রোমোটারের সঙ্গে যৌথ ভাবে গুহ পার্কে একটি আবাসন তৈরি শুরু করছিলেন তিনি। ঘটনার সময়ে পাঁচিল ঘেরা সেই ফাঁকা জায়গাতেই দু’জনে বসেছিলেন। কিছুটা দূরে ছিলেন শ্যামের দাদা ভিখারি ও কয়েক জন শ্রমিক। পুলিশ জানায়, রাত ১২টায় খবর পেয়ে জয়সোয়াল
|
নিহত শ্যাম রায় |
হাসপাতালে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করা হয়। জেরায় মাখন জানায়, রাত সওয়া ১০টা নাগাদ তিন-চার জন যুবক এসে শ্যামকে দু’টি গুলি করে পালায়। গুলি শ্যামের বুকে লাগে। শ্যামকে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে তাঁরা প্রায় দু’ঘণ্টা পরে জয়সোয়াল হাসপাতালে পৌঁছন বলে জানান মাখন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের একটি দল মাখনকে জেরার পাশাপাশি পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখছেন। ওই রাতে কারা এসেছিল? মাখন বলেন, “আমি কাউকে চিনি না। তবে ওরা শ্যামের পরিচিত।” প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। শ্যামের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত মাখন আততায়ীদের চেনেন না বললেও তারা শ্যামের পূর্ব পরিচিত বললেন কী করে? পুলিশকে না জানিয়ে তিনি, ভিখারি ও অন্যরা শ্যামকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেন কেন? হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বলেন, “তদন্ত চলছে। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।”
এ দিন শ্যামের বাড়িতে গেলে তাঁর স্ত্রী ধর্মন্তীদেবী জানান, আগে তাঁরা ভট্টনগরে থাকতেন। তিন-চার মাস আগে পান্নালাল বসাক লেনে এসেছেন। তিনি বলেন, “আগে যেখানে থাকতাম, ওখানকার একটি ছেলে কয়েক জনকে নিয়ে রবিবার আমাদের ফ্ল্যাটে এসে পাঁচ লক্ষ টাকা চায়। শ্যাম দিতে না চাইলে হুমকি দেয়। শেষে রাতে খুন করে।” |