পড়ুয়াদের জন্য সমিতির ব্যাঙ্কে থাকছে ১৮ লক্ষ
গেই তিনি রাজ্য ও দেশের উৎকৃষ্ট সমবায় সমিতি হিসাবে পরিচিতি দিয়েছিলেন নলহাটি ১ ব্লকের কয়থা কৃষি সমবায় সমিতিকে। এ বার সদ্য অবসর নিয়ে সমিতির বিদায়ী ম্যানেজার শফিকুল আলম এলাকাবাসীর জন্য শুনিয়ে গেলেন আরও খুশির খবর। গত রবিবার কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, এলাকার
বিদায়ী ম্যানেজার শফিকুল আলম।
দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য সমিতির বিভিন্ন খাত থেকে জমানো ১৮ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছে। তা থেকেই প্রতি বছর এক কালীন আর্থিক সাহায্য পাবে অন্তত ৩৫-৪০ জন্য দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী।
শুধু তাই নয়, শফিকুলবাবু সমিতি ছেড়ে যাওয়ার দিন পর্যন্ত হিসেব বলছে ওই সমবায় সমিতির কর্মী ও সদস্যদের ‘ওয়েলফেয়ার ফান্ডে’ জমা রয়েছে ৪৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা!
যা সদস্য ও কর্মীদের চিকিৎসা ও মেয়ের বিয়েতে খরচ করা হবে। বস্তুত, নলহাটির এই সমবায় সমিতি আজ যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তার জন্য শফিকুল আলমের অবদানের কথা একবাক্যে সবাই স্বীকার করছেন। নলহাটি ১ ব্লকের সমবায় প্রদর্শক অনুপকুমার বসাকও বলছেন, “এই সমবায় সমিতি রাজ্যের সেরা হওয়ার জন্য বিদায়ী ম্যানেজার শফিকুল আলমের অন্যতম অবদান রয়েছে।”
১৯৯৬ সালে এলাকার মেরাজ হোসেন, আব্দুর রোপ-সহ ১৪ জন প্রান্তিক চাষি ওই সমবায় সমিতির মাধ্যমে সেচের জন্য সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়ে ছিলেন। ঋণের টাকাও শোধ করেছেন অনেক দিন আগেই। ওই পাম্পগুলির সৌজন্যে এখন এলাকার প্রায় ২৮০ একর জমিতে বছরভর চাষ হয়। এলাকার ৭৬টি স্বনির্ভর দলও সমিতির থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে প্রকৃত ‘স্বনির্ভর’ হয়েছে। সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩,২০০।
বিভিন্ন সময়ে কয়থা সমবায় সমিতির পাওয়া পুরস্কার।
কিন্তু সেখানকার সদস্য নন, এমন মানুষেরাও ঋণ পান নানা প্রয়োজনে। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর অ-কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কৃষি ঋণ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। কৃষি ঋণের টাকা অবশ্য নাবার্ড দিয়েছে। ওই সমবায় সমিতি সূত্রে খবর, সেই ১৯৮৭ সাল থেকেই সমিতি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চালু করেছে। আজ সেখানে মোট আমানতের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি টাকা। ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি বছর গড়ে ২০ লক্ষ টাকা আয় হয়। বর্তমানে আয় বাবদ ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা রয়েছে। ১৯৯৩ সালে রাজ্য সরকারের কাছে থেকে সেরা সমবায় সমিতির শিরোপা পেয়েছিল বলে সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, ২০০৭-০৮ সালের কাজের ভিত্তিতে ভারতে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল এই সমিতিই। সেই উপলক্ষে ২০১০ সালে সমিতিকে ‘সুভাষ যাদব অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়েছিল নয়া দিল্লির ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কস লিমিটেড’। সমিতির কাজকর্ম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের রামপুরহাট মহকুমার অডিটর অরূপ দত্তও। তাঁর কথায়, “ওই সমবায় সমিতির গ্রেড +এএ। এত ভাল সমিতি দেখাই যায় না।” অন্য দিকে, সদ্য অবসর নেওয়া শফিকুলবাবুও বলেন, “গ্রামের মানুষদের পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। আমার যতটুকু যা সাধ্য ছিল, দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।”

ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.