এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ করার পরে তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও অভিযুক্তেরা ধরা পড়েনি। অথচ, অপহরণে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে ওই মারধর ও আটকে রাখার পাল্টা অভিযোগ করার পরপরই গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্রীর বাবাকে। ধৃতকে সোমবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে শুনানির সময়ে অভিযুক্তের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস প্রথম মামলার ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। বিশ্বজিৎবাবু জানান, সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি পুলিশকে প্রথম মামলার ব্যাপারে ৬ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ সিজেএম আদালতে জামালপুরের রামনাথপুর গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ করেন তাঁর বাবা আব্দুল রহমান। চন্দ্রদেব, মহাদেব, অসিত ও বুদ্ধদেব সাঁতরা নামে গ্রামেরই বাসিন্দা চার ভাইয়ের নামে অভিযোগ করা হয়। আদালত জামালপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রায় ২০ দিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বিশ্বজিৎবাবুর।
এ দিকে, অভিযুক্ত অসিত সাঁতরার স্ত্রী ঊমাদেবী সোমবার জামালপুর থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর দেওর চন্দ্রদেবের সঙ্গে ওই ছাত্রী পালিয়ে গিয়েছে। তার প্রতিশোধ নিতে, শেখ রহমান ও তাঁর আত্মীয়েরা ভাসুর মহাদেব ও স্বামী অসিতকে মারধর করেছেন। মহাদেবকে আটকেও রেখেছে বলেও অভিযোগ। এর পরে পুলিশ ছাত্রীর বাবা শেখ আব্দুল রহমানকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মহাদেববাবুর খোঁজ মেলেনি। এ দিন ধৃতকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে জামালপুরের ওসি সুব্রত ঘোষের বক্তব্য, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওই ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্কা। তাঁর বাবা থানায় অপহরণের অভিযোগ জানাতে এলে আমরা মেয়েটির বয়স সংক্রান্ত শংসাপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেননি। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।” তাঁর দাবি, “এর মধ্যে মহাদেববাবুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠায় গোলমাল পেকেছে। যাতে এই ঘটনাটি বড় আকার না নেয় সে জন্যই রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |