যে নামের কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে সেই নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। কেউ ওয়েবসাইটে যে কেন্দ্র দেখেছেন এ দিন গিয়ে দেখেন সেখানে তাঁর কেন্দ্র নয়। পরীক্ষা দিতে হলে ৩০ কিলোমিটার বা তাঁরও বেশি দূরে আধঘণ্টায় পৌঁছতে হবে। এই পরিস্থিতিতে ‘রিজার্ভ সেন্টার’-এ গিয়ে দেখেন সেখানেও পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এমনই অব্যবস্থায় শিলিগুড়িতে ২০ জন ‘টেট’ দিতে পারলেন না। কোচবিহার ও রায়গঞ্জেও অনেকে পরীক্ষা দিতে পারেননি।
শিলিগুড়ির পরীক্ষার্থীরা জানান, যে কেন্দ্রে তাঁরা গিয়েছিলেন সেখান থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে বাগডোগরা কলেজে ‘রিজার্ভ সেন্টার’ করা হয়েছে। |
সেখানে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন। সেই মতো কলেজে যান দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা ইপ্সিতা চক্রবর্তী, আশ্রমপাড়ার অলক মিত্র, ঝঙ্কার মোড়ের জোসমিরা শ্রীবাস্তবের মতো পরীক্ষার্থীরা। বেলা আড়াইটে নাগাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তী জানান, তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। কেন্দ্র বিভ্রাটের জেরে মালদহেও অনেক পরীক্ষার্থী এ দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি। শিলিগুড়ির বাগডোগরা কলেজের ‘রিজার্ভ সেন্টার’-এ অবশ্য এ দিন পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। স্থানীয় পুলিশকেও সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সেন্টারের দায়িত্বে থাকা তথা কলেজের অধ্যক্ষ রঞ্জিত দাস জানান, রিজার্ভ সেন্টার করা হলেও প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়নি। অনেকে আসছেন দেখে তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানকে তা জানান।
পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম বিভ্রাটের জন্য পরীক্ষায় বসতে পারেননি রুম্পা সাহা নামে ঘোকসাডাঙার এক পরীক্ষার্থী। অ্যাডমিটে ব্যাঙ্কের সিল না-থাকায় ১৩ জন পরীক্ষায় বসতে না-পারায় উত্তেজনা ছড়ায় কোচবিহারের জিরানপুরে। |