সিপিএমের দাবি, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশের বক্তব্য, অনুমতি চাওয়াই হয়নি।
এই চাপানউতোরের মধ্যে রবিবার শাসনে মিছিল করার পূর্ব ঘোষণা থেকে সরে এসেছিল সিপিএম। যদিও একই দিনে আমিনপুর থেকে শাসন বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ হাঁটলেন তৃণমূলের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। দিন তিনেক আগে এই মিছিলের অনুমতি চেয়ে তাঁরা পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াইয়ে বিরোধীদের এ দিন এক গোলে পিছিয়ে দিল শাসক দল এমনটাই মনে করছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজনৈতিক মহল।
সিপিএমের তরফে অভিযোগ, পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আগামী ৭ এপ্রিল শাসনে মিছিল করবে সিপিএম। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি না দিলেও মিছিল করার সিদ্ধান্ত থেকে আর পিছিয়ে আসবেন না তাঁরা।
এ দিন তৃণমূলের মিছিলে ছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ নুরুল ইসলাম, জেলা কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষ, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ প্রমুখ। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “শাসনে দুষ্কৃতীদের নিয়ে মিছিল করতে চেয়েছিল সিপিএম। মজিদ মাস্টার (এক সময়ে শাসনের দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা মজিদ আলি)-সহ শ’তিনেক দুষ্কৃতীকে তাতে সামিল করতে চেয়েছিল ওরা। কিন্তু এ সব মেনে নেবে না তৃণমূল। তারই প্রতিবাদে এ দিন আমাদের কর্মসূচি।”
পাশাপাশি তৃণমূল নেতার সংযোজন, “সাধারণ মানুষকে নিয়ে মিছিল করতে চাইলে করুক না ওরা। গণতান্ত্রিক অধিকারে কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু দুষ্কৃতীদের নিয়ে দাপাদাপি আমরা মেনে নেব না।” এ দিন তৃণমূলের মিছিলে ভিড় দেখে স্বভাবতই খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনের মাটিতে বিরোধীদের এমন কর্মকাণ্ড বাম জমানায় ভাবাই যেত না।
৩১ মার্চ শাসনে ঘরছাড়াদের নিয়ে মিছিল করার কথা গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছিল। মজিদ মাস্টারের সেখানে থাকার কথা ছিল না বলেই দাবি দলের নেতাদের।
সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তাপ ছড়াচ্ছে শাসনে। ভেড়ি এলাকার রাজনীতিকে ঘিরে আতঙ্কের দিন ফিরছে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। |