খড়্গপুর নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না সিপিআইয়ের
শো-কজের জবাবে পদত্যাগ তৈমুরের
লীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন সিপিআই কাউন্সিলর তৈমুর আলি খান। ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে রেলশহর খড়্গপুরে। ওই কাউন্সিলর দলের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটির সদস্য। তৈমুরের বক্তব্য, তিনি আর এই দলের কোনও পদে থাকতে চান না। তাই তাঁর এই পদক্ষেপ। রবিবারই পদত্যাগপত্র পৌঁছেছে সিপিআইয়ের শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক অসিত বসাকের কাছে। যদিও সিপিআই নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে এদিন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছননি। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “ওই কাউন্সিলর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ হবে।”
শুধু পদত্যাগপত্র পাঠানোই নয়, এদিন শো- কজের জবাবও দিয়েছেন এই ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর। জবাবে তাঁর বক্তব্য, তিনি যা করেছেন, সবই দলের শাখা কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আনা যায় না। সিপিআই নেতৃত্বের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, এমন সওয়াল অবান্তর। প্রসঙ্গত, দলের নির্দেশ মেনে চিঠি প্রত্যাহার না- করায় ক’দিন আগেই তৈমুর আলি খানকে শো-কজ করে সিপিআই। রবিবারের মধ্যেই তাঁকে শো- কজের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। রেলশহরের তিন সিপিআই কাউন্সিলরের এক চিঠি ঘিরে গত ক’সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলেছে খড়্গপুরে। মার্চের গোড়ায় খড়্গপুরের মহকুমাশাসককে এক চিঠি দেন লিপিকা বাগদি, মমতাজ কুদ্দুস এবং তৈমুর আলি খান- এই তিন সিপিআই কাউন্সিলর। চিঠিতে জানানো হয়, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে কেন পুরপ্রধান হিসেবে দেখতে চাইছেন সিপিআই কাউন্সিলররা, তা নিয়েই শুরু হয় শোরগোল। বিড়ম্বনায় পড়েন সিপিআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। পরিস্থিতি দেখে পরে ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের বাগে আনার চেষ্টা হয়। খড়্গপুরে একাধিক বৈঠক হয়। এমনকী, দলের জেলা সম্পাদকও তাঁদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন। ওই চিঠি প্রত্যাহারের আর্জি জানান। তাতে সাড়া দিয়ে গত মঙ্গলবার লিপিকা বাগদি এবং মমতাজ কুদ্দুস চিঠি প্রত্যাহার করেন। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তৈমুর।
দলীয় নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, রবিবারের মধ্যে শো- কজের উত্তর না- দিলে অথবা উত্তর দলের পছন্দ না- হলে ওই কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। পাশাপাশি, দল যদি বহিস্কারই করে তাহলে সে ক্ষেত্রে তৈমুরের ওয়ার্ডে উপ- নির্বাচনের দাবি জানানো হবে। মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেই এই দাবি জানানো হবে। রবিবারের মধ্যেই শো- কজের উত্তর দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। তবে সঙ্গে তাঁর পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন কী করবে সিপিআই? দলের জেলা সম্পাদকের বক্তব্য, “আমরা শুরু থেকেই বলেছি, দলকে কিছু না- জানিয়ে মহকুমাশাসকে চিঠি দেওয়া ঠিক হয়নি। কাউন্সিলরদের এই পদক্ষেপ দল সমর্থন করে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে আগে দলে আলোচনা হোক। তারপরই যা বলার বলব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.