পরীক্ষার ডায়েরি |
পরীক্ষাটা দিতে পেরেই খুশি |
|
যানজটে আটকে |
আমি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রস্তুতি নিয়েছি বলেই পরীক্ষা দিতে যাই। সকাল আটটায় গাড়ি নিয়ে বেরোই। কিন্তু ধর্মায় গিয়ে দেখি চার দিকে সার সার গাড়ি। নড়ার উপায় নেই। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাদের খড়্গপুর যাওয়ার কথা, পুলিশ তাদের কেশপুরে দিকে ঘুরিয়ে দেয়। দেড়টা নাগাদ ধর্মা থেকে আধ কিলোমিটার খড়্গপুরের দিকে এগোতে পেরেছিলাম। দু’টোয় পরীক্ষা শেষ। ফলে পরীক্ষা দিতে পারব না ভেবে বাড়ি রওনা দিই। পরে অবশ্য মেদিনীপুর কলেজে বিশেষ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছি। সুদীপ্তা প্রহরাজ। বাড়ি মেদিনীপুরে। পরীক্ষা কেন্দ্র পিংলার গোবর্ধনপুর হাইস্কুল। |
পরীক্ষাই দিতে পারলাম না |
|
দৃশ্যতই হতাশ |
তীব্র যানজটে আটকে টেট পরীক্ষাটাই দিতে পারলাম না। বাংলায় অনার্স পাশ করেছি। টিউশন ও চাষ করে সংসার চলে। দীর্ঘদিন ধরেই একটা চাকরির চেষ্টা করছি। যঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। অনেকে মিলে গাড়ি ভাড়া করে আসছিলাম। কিন্তু মোহনপুর সেতুর যানজট থেকে দুপুর দেড়টাতেও মুক্তি পাইনি। বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হল। টাকা খরচ করে, সারাদিন হয়রানি সহ্য করেও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারলাম না। এটা সারা জীবনের আফশোস হয়ে থাকল।
মতিলাল বেরা। বাড়ি পটাশপুরে। পরীক্ষাকেন্দ্র কেশপুরের লক্ষ্ণীনারায়ণ স্কুল। |
সংসদে বিক্ষোভ নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
প্রতিবাদে এসইউসিআই।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে রবিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ডিএসও। সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা বিকেলে শহরে মিছিল করেন। মিছিল সংসদ অফিসের সামনে পৌঁছলে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। ডিএসও’র জেলা সম্পাদক অমল মাইতির বক্তব্য, বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতেই পারেননি। যাঁরা পৌঁছেছেন, তাঁদেরও লেখার মতো মানসিক অবস্থা ছিল না। এই অবস্থায় রবিবারের পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষার দাবি জানান অমলবাবু। আজ, সোমবারও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন। ডিওয়াইএফ-এসএফআই দুপুরে বিক্ষোভ দেখাবে। ছাত্র পরিষদেরও কর্মসূচি রয়েছে। |
|