টুকরো খবর
জনবিচ্ছিন্নতা কাটেনি, কবুল করলেন দীপক
দলের একাংশ নেতা- কর্মীর যে জনবিচ্ছিন্নতা কাটেনি, দলের এক সভায় তা প্রকারন্তরে কবুল করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। তাঁর বক্তব্য, মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। তবে একাংশ নেতা- কর্মীর জন্য তাদের সকলে সিপিএমকে পছন্দ করছে না। যাঁরা ভুল বুঝে দূরে সরে গিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ফের কাছে টানতে গেলে মানুষের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি বলেই মনে করেন দীপকবাবু। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ হলে এক সভা করে সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, এটি সাধারন সভা। জেলা কমিটির সদস্য, জোনাল কমিটির সদস্য, লোকাল কমিটির সদস্যরা সভায় যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর আরেক সদস্য দীপক দাশগুপ্ত। দলীয় সূত্রে খবর, সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের জেলা সম্পাদক বার্তা দিয়েছেন, এখন থেকেই পুরোদমে পঞ্চায়েতের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এলাকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। একটি আসনের জন্য একাধিক প্রার্থীর নাম ঠিক করতে হবে। যাতে কাউকে মনোনয়নে বাধা দেওয়া হলেও সেই আসনে দলের প্রার্থী দেওয়া যায়। জেলায় বহু বছর ধরে সিপিএমের মধ্যে ক্রুটি সংশোধন অভিযান চলছে। অথচ, একাংশ নেতা- কর্মীর মধ্যে আলোচিত ক্রুটিগুলি থেকেই যাচ্ছে। এরফলে জন জনমানসে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। সভায় ওই অংশের নেতা-কর্মীদেরই সতর্ক করে দিতে চেয়েছেন দীপকবাবু বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

তদন্তের দাবিতে হোমে বিক্ষোভ
আবাসিক পালানোর ঘটনার তদন্ত দাবি করে হোমের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। শনিবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচী। অন্যদিকে, ওই দিনই জেলাশাসকের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এসইউসির মহিলা সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, হোমে আবাসিকদের উপর অত্যাচার চলছে। তারও তদন্ত করতে হবে। গত বুধবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা হোমের ৪ জন আবাসিক পালিয়ে যায়। রক্ষীদের নজর এড়িয়ে আবাসিকেরা প্রথমে হোমের ছাদে উঠে পড়ে। ছাদের পাশে একটি গাছ রয়েছে। সেই গাছের ডাল ধরে নীচে নামে। পরে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। ওই দিন সকালেই স্টেশনে গিয়ে লোকাল ট্রেন থেকে এক আবাসিককে ধরে ফেলেন হোম সুপার ভারতী ঘোষ। রাতে আরও এক আবাসিকের খোঁজ মেলে মেদিনীপুরে। তাঁকে উদ্ধার করে হোমে আনা হয়। অভিযোগ, এই আবাসিককে মারধর করা হয়েছে। ওই আবাসিকা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। বিজেপির মেদিনীপুর শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “বারবার এই হোম থেকে আবাসিক পালানোর ঘটনা ঘটছে। গুড়াপ কান্ডের পর পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি। হোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।”

স্ত্রীকে কুপিয়ে আত্মঘাতী
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছেএই সন্দেহে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে চন্দ্রকোনা রোডের সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েতের সাইনাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালেই সুকুমার দোলই (৫৫) স্ত্রী কাজল দোলইকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন। স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকেরা ছুটে এলে সুকুমারবাবু অস্ত্র নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকার লোকজনই কাজলদেবীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ পৌঁছে পড়শিদের নিয়ে সুকুমারবাবুর বাড়ি পৌছে তাঁকে দরজা খুলতে বলেন। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখেন সিলিং ফ্যানে দড়ি দিয়ে ঝুলছেন সুকুমারবাবু। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় কৃষক সুকুমারবাবুর সঙ্গে স্ত্রী কাজল দোলইয়ের অশান্তি চলছিল। স্ত্রীকে প্রায়ই মারধরও করতেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রীর সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের সম্পর্ক রয়েছে, এমন সন্দেহ থেকেই দোলই-দম্পতির গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.