দশ দিন পরে মিলল নিখোঁজ শিক্ষকের দেহ। রবিবার কাঁকসার দেউলের অদূরে জঙ্গলের মধ্যে থেকে ওই শিক্ষকের পচাগলা দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিক্ষকের নাম মানস পাত্র (৩৩)। বাড়ি দুর্গাপুরের সবুজ নগরে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার হ্রদের ডাঙা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন মানসবাবু। প্রতিদিনের মতোই ২০ মার্চ তিনি স্কুল যান, তারপরে আর ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী প্রতিমা পাত্র ২১ মার্চ পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরের দিন কাঁকসার দেউলের পার্কিং থেকে তাঁর মোটরবাইকটি উদ্ধার করে পুলিশ। ২৩ মার্চ প্রতিমাদেবী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় স্কুলের দুই শিক্ষক ও স্থানীয় কয়েকজন এসে মানসবাবুকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পরের দিন থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। প্রতিমাদেবীর সন্দেহ, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গলে কাঠ-পাতা আনতে গিয়েছিলেন। তাঁরাই দেখেন, জঙ্গলের ভিতরে একটি পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, বেশ কয়েকদিন আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেহের অংশবিশেষও বেপাত্তা। তাঁদের অনুমান, জঙ্গলের কোনও জন্তু খেয়ে নিতে পারে। কিন্তু দেহটি পচে যাওয়ায় আঘাতের চিহ্ন আছে কি না তা প্রাথমিক ভাবে পুলিশ বুঝতে পারেনি। মৃতের আত্মীয় রোহিত পাত্রও জানান, ওটি মানসবাবুর দেহ বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যাও হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। |