দু’দিনের লিট্ল ম্যাগাজিন মেলা শেষ হল রবিবার। আসানসোল খনি ও শিল্পাঞ্চলের লেখক, কবি ও সম্পাদকদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়েছিল শনিবার। উদ্বোধন করেন একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের চেয়ারম্যান দেবেশ মজুমদার। দু’দিনই ছিল নাচ, গান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান। স্বরচিত কবিতা ও গল্প পাঠ করেছেন কবি ও লেখকেরা। ‘লিটল ম্যাগজিনের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখিকা জয়া মিত্র বলেন, “লিট্ল ম্যাগজিন একটি আন্দোলনের নাম। কিন্তু সারা বছর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ থাকে না। বছরে দু’দিনের এই মেলাতে আর যাই হোক, লিটল ম্যাগজিন আন্দোলন সার্থক হয় না।”‘নারী নির্যাতন, বাঙালী সাহিত্যের নিরিখে’ শীর্ষক আলোচনায় যোগ দেন আসানসোলের অনেক লেখক। প্রথমদিন তিন দশকের বেশি সময় ধরে প্রকাশিত বীরভূমের কাল্পনিক, রূপনারায়ণপুরের ‘আজকের যোধন’, আসানসোলের ‘তাপ উত্তাপ’ তুলনামূলকভাবে বয়সে নবীন আসানসোলের ‘শূন্য’ পত্রিকার বিশেষ মেলা সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
কবি সুভাষ মণ্ডলের ‘রূপার জন্য সর্বস্ব’ কাব্যগ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন লেখিকা জয়া মিত্র। মেলায় সামিল হয়েছেন রূপনারায়ণপুরের লিটল ম্যাগজিন ‘দিগন্ত’, দুর্গাপুরের তিন বছরে পা দেওয়া শিল্পসাহিত্য, আসানসোলের দ্বিতীয় বছরের ‘শিশিরের শব্দ’, আসানসোলের একমাত্র হিন্দি লিট্ল ম্যাগজিন ‘কালপত্র’ স্টল দিয়েছিল। দশ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘দেখা’ ও তিন দশকের সাহিত্য ভাবনার টেবিলের পাশেই দ্বিতীয় বর্ষের অনুভব মেলায় সামিল। সম্পাদকদের প্রায় সকলের কথায়, “এই মেলা আসানসোলে একটি অন্যমাত্রা যোগ করেছে। আমাদের কাছে সেরা উৎসবে পরিণত হয়েছে।” আয়োজক সংস্থা আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক অমল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দীর্ঘদিনের চাহিদা মেটাতে এই মেলা চার বছর আগে শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকতায় তাঁরা উদ্বুদ্ধ। |