|
|
|
|
বাবা জ্ঞান দিয়ো না |
আইপিএল, অ্যাপস, ফেসবুক |
স্টেডিয়ামে না যেতে পারলেও মনখারাপের কিছু নেই।
স্মার্টফোন
অ্যাপস তো আছে। সে সবের হদিশ দিলেন অরিজিৎ চক্রবর্তী |
এ বার গ্রীষ্মকালের নাম বদলে না টি-টোয়েন্টি কাল হয়!
বিলবোর্ডের শিরোনামে তো জাস্টিন টিম্বারলেকের ‘দ্য ২০/২০ এক্সপিরিয়েন্স’। প্রথম সপ্তাহেই অ্যালবামের বিক্রি ন’ লাখ।
ক্রিকেট বিশ্বও তো সরগরম আইপিএল-এর ষষ্ঠ সিজন নিয়ে। ফেসবুক পেজে উনিশ লাখ লাইকস।
“আমার কাছে ‘সিলি পয়েন্ট’ মানে হল বয়ফ্রেন্ডের বাজে বকা। কোনটা স্ট্রেট ড্রাইভ, কোনটা কভার ড্রাইভ তা-ও বুঝি না। আইপিএল নিয়ে আগ্রহ বলতে কোহলির ট্যাটু আর ধোনির সল্ট অ্যান্ড পেপার লুক,” বলছিলেন প্রেসিডেন্সির দেবারতি। যোগ করলেন, “ওহ্, আর হ্যাঁ অবশ্যই ফেসবুকে আইপিএল গেমস। যা অ্যাডিক্টিভ! আমি তো রাত জেগে খেলছি আইপিএল ফিভার।”
আইপিএল ম্যাচ দেখতে যাওয়ার মতোই উৎসাহ ফেসবুকে ইন্টার-অ্যাক্টিভ গেম খেলার। ম্যাচের টিকিট পাওয়ার জন্য জান কবুল করতে পারা জনগণ, কী আইপিএল-এর বিউগল শুনে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খাওয়া পাবলিক, আইপিএল নেটের প্রেমে পড়েনি, এমন জেন ওয়াই বোধহয় ভূ-ভারতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। |
|
অফিসে ম্যাচ
রুদ্রর সমস্যাটা ঠিক দেবারতির মতো নয়। ক্রিকেটটা ভালই বোঝেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানও ছিলেন। পেশার খাতিরে আর খেলতে না পারলেও উৎসাহে কোনও দিন ভাটা পড়েনি। বুধবারের কলকাতা নাইট রাইডার্স আর দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস ম্যাচের টিকিটও কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই যে ‘বিপদ কখনও বলে আসে না’! বসের হুকুম উইক ডে-তে ছুটি নেওয়া যাবে না।
এমন সমস্যা নিশ্চয় রুদ্রর একার নয়। অনেকেই আছেন যারা না যেতে পারবেন স্টেডিয়ামে, না পারবেন বাড়ি বসে ম্যাচ দেখতে।
চিন্তা কী? স্মার্টফোন তো আছে। আর আছে অ্যাপস। সেখানেই পাবেন ম্যাচের নিখুঁত বিবরণ। এমনকী বসের চোখ এড়িয়ে ফোনেই দেখে নিতে পারবেন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’।
১) আই-ফোন
আইপিএল-এর অফিশিয়াল অ্যাপস আইপিএল টি-টোয়েন্টি স্কোর এমনকী প্লেয়ারদের ইন্টারভিউ পর্যন্ত দেখাবে। আর একটা উল্লেখযোগ্য অ্যাপস হল আইপিএল ডাগআউট। এই অ্যাপস শুধু ম্যাচের স্কোর জানাবে না। আপনার অবস্থান থেকে জানিয়ে দেবে কাছাকাছি কোন পাব বা রেস্তোরাঁর জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচের টেলিকাস্ট দেখাচ্ছে।
২) অ্যান্ড্রয়েড
আই ফোন না থাকলেও ঘাবড়ানোর কিচ্ছু নেই। অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট আর গুগল প্লে থেকে ডজন খানেক অ্যাপস ইন্সটল করে নিতে পারবেন। আইপিএল লাইভ স্ট্রিমিং আর আইপিএল টিভি অ্যাপস ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখাবে। তবে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থ্রি-জি কানেকশন থাকলেই ভাল।
৩) ব্ল্যাকবেরি
এখনও পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও অ্যাপস নেই। তবে ম্যাচের সরাসরি ফলাফলের থেকে বঞ্চিত হবেন না ব্ল্যাকবেরি ব্যবহারকারীরা। অফিশিয়াল অ্যাপস ছাড়াও ক্রিকেট ইন হ্যান্ড আর ক্রিকবাজ-এর মতো অ্যাপস ম্যাচের স্কোর, শিডিউল ছাড়াও সরাসরি কমেন্ট্রিও দেবে হ্যান্ডসেটে।
৪) উইনডোজ
অ্যাপসের দুনিয়ায় ততটা সাড়া ফেলতে না পারলেও, সদ্য বাজারে আসা উইনডোজ এইট আইপিএল-এর উত্তাপ বেশ খানিকটা দিতে পারবে। লাইভ ক্রিকেট সাঙ্ঘাতিক কিছু না করতে পারলেও সরাসরি ম্যাচের ফলাফলটা জানাতে পারবে।
৫) সিমবিয়ান
সিমবিয়ান ব্যবহারকারীদের অবশ্য এখনও পর্যন্ত শুধু ক্রিকেট কলিংয়ের উপরেই ভরসা করতে হবে। |
ফেসবুকে খেলা |
|
• টি২০ ফিভার: থ্রি-ডি গ্রাফিক্স এই গেমসের সম্পদ। আই প্যাড আর আই ফোনে অ্যাপস হিসাবেও খেলা যাবে। খেলার শেষে ফেসবুকে আপডেটও করে দিতে পারবেন স্কোর।
• ক্রিক ম্যাম্বো ফ্যান্টাসি বেটিং: নিজের টিমের হয়ে বেটিং করতে পারেন। সত্যিকারের বেটিং নয়, এটা ফ্যান্টাসি, তাই আইনি ঝামেলায় পড়ার চাপ নেই। নিজের বেটিং স্কোর অনলাইন বন্ধুদের জানিয়েও দিতে পারবেন। |
‘ফ্যান’দের জন্য |
|
• চেন্নাই সুপার কিংস: ওয়েবসাইটে মজার হল ধোনি, মর্কেল, রায়নার কাগজের পুতুল। পেজের প্রিন্ট আউট, দেখানো জায়গা অনুযায়ী ভাঁজ করলেই মিলবে ‘হেলিকপ্টার শট’ মারা ধোনির পুতুল। আর কী চাই
• দিল্লি ডেয়ারডেভিলস: খুব কাছাকাছি দ্বিতীয় স্থানে থাকবে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-এর ওয়েবসাইট। ফ্যানদের জন্য প্রেডিক্টর নামে একটা গেমের ব্যবস্থা আছে
• রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ফ্যানদের জন্য প্লেয়ারদের স্কেচ প্রতিযোগিতার আয়োজন আছে |
|
|
ম্যাচের ফাঁকে
এত দিন তো ফেসবুক জনতাকে সেই ফার্মভিল নয়তো ক্রিমিনাল মাইন্ডস-ই খালি খেলতে হত। আইপিএল-এর ভরা মরসুমেও তা-ই খেলতে হবে এমন কথা মনে হয় অর্কুটও বলবে না। আইপিএল মনোরঞ্জনের ঠিকানা এখন আর মোটেই স্টেডিয়াম কী টেলিভিশন সেট নয়, সে ঠিকানার নতুন বাসিন্দা এখন সোশাল মিডিয়া সাইটগুলোও।
প্রায় ডজনখানেক গেম আছে ফেসবুকে। স্টেটাস আপডেটের সঙ্গেই দিব্যি খেলে নিতে পারেন টি-টোয়েন্টি ফিভার বা ক্রিক মাম্বো-র মতো ফেসবুক গেমস।
আর কী। উইক ডে-তে ইডেনে না হয় না-ই ঢুঁ মারতে পারলেন।
কিউবিকলের জঙ্গলে না হয় জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখাও ফসকে গেল। তাতে কী! হাতে তো রইল স্মার্টফোন, অ্যাপস আর ফেসবুক। |
|
|
|
|
|