এ বার নতুন করে বরো চেয়ারম্যান নির্বাচনের দাবি তুলল তৃণমূল। এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য দাবি জানাবেন তাঁরা। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা পুরবোর্ড থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। কিন্তু, ৫টি বরোর মধ্যে ৪টিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোটের ভিত্তিতে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা রয়েছেন। নীতির প্রশ্ন তুলেই সব কটি বরোয় নির্বাচন জরুরি বলে মনে করে তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মহাসচিব কৃষ্ণ পাল বলেন, “বোর্ড থেকে যখন সমর্থন প্রত্যাহার করেছি, তখন বরোয় একজোট হয়ে থাকার প্রশ্ন ওঠে না। তাই আমরা ফের বরো চেয়ারম্যান পদে ভোট চাইব।” পুরসভা সূত্রের খবর, বিধি মেনে ফি বছর বরো চেয়ারম্যান ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু, বোর্ডে কোনও দল কিংবা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলে একবার বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন হলে তা সাধারণত হয় না।
এই মুহূর্তে ১ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান রয়েছেন বাম কাউন্সিলর বলরাম নাথ। বামেদের নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ওই বোরোর চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। ২ নম্বর বরোয় রয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী গৌরী দত্ত। এই বোরোয় তৃণমূল-কংগ্রেস ও বামেদের ৩ জন করে কাউন্সিলর রয়েছেন। ৩ নম্বর বরোয় চেয়ারম্যান রয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত তৃণমূলের নিখিন সাহানি। এখানে কংগ্রেসের ৪ জন, তৃণমূলের ৪ জন ও ২ জন বাম কাউন্সিলর রয়েছেন। ৪ এর বোরো চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তৃণমূলের সমীরণ সূত্রধর। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ৫ নম্বর বোরোয় তৃণমূলের সমর্থনে রয়েছেন কংগ্রেসের শর্মিলা শর্মা। কংগ্রেসের ৩ জন, তৃণমূলের ২ জন ও বামেদের ৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন ওই বরোয়।
অর্থাৎ তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে দু’টি বরোয় চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। কিন্তু কংগ্রেসের বরো চেয়ারম্যানদের মানতে এখন নারাজ তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে পদ হারাবেন কংগ্রেসের দুই বরো চেয়ারম্যান এবং তৃণমূলের একজন। পুরসভার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নিজেদের দলের একটি বরো চেয়ারম্যান পদ গেলেও কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলতে নির্বাচন চাইছে তৃণমূল। এই বিষয়ে কংগ্রেসের কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠক জানান, তৃণমূল চাইলেই তো নির্বাচন হবে না। সব কিছু বিধি মেনেই হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বামেরা অবশ্য নতুন করে বরো চেয়ারম্যান পদে ভোটাভুটিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “কংগ্রেস-তৃণমূলের লড়াইয়ে আমরা নেই।” |