এক বছর আগে তাঁর নেতৃত্বে প্লে অফে পৌঁছেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। এ বার আর নেতৃত্বের দায়িত্ব নেই। তাঁর উপর থেকে চাপ সরিয়ে নেওয়ার জন্যই নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্ত। তা হলে কি এ বার বীরেন্দ্র সহবাগের ব্যাটিং আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠবে? সহবাগের সপাট জবাব, “আমি ক্যাপ্টেন থাকলাম কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি যে ভাবে ব্যাট করি, সে ভাবেই ব্যাট করব। অধিনায়ক থাকার সময়ও আলাদা করে কখনও চাপ অনুভব করিনি।”
আগামী বুধবার ইডেনে কলকাতা বনাম দিল্লি ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ আইপিএল। তার আগে এখানে এক অনুষ্ঠানে সহবাগ পরিষ্কার বলে দিলেন, “আমি সব সময় মনে করি নেতৃত্ব আর পারফরম্যান্স দুটো পুরোপুরি আলাদা ব্যাপার। আর যদি আপনি চাপের কথা বলেন তা হলে বলব, গত বার অধিনায়ক থাকার সময়ই আমি পরপর পাঁচটা হাফ সেঞ্চুরি করেছিলাম। যেটা আইপিএল রেকর্ড। তা ছাড়া দিল্লির হয়ে গত বার সবথেকে বেশি রানও আমারই ছিল।” |
প্রথম ম্যাচেই সামনে গত বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। বীরু জানিয়ে দিচ্ছেন, তিনি মাঠে নামার জন্য একশো ভাগ তৈরি। তবে গৌতম গম্ভীরের দলের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা অস্ত্র কেভিন পিটারসেনকে ছাড়াই নামতে হচ্ছে দিল্লিকে। সহবাগ বলছিলেন, “কেপি বড় ম্যাচের প্লেয়ার। ওর অভাবটা অবশ্যই টের পাব। তবে আমাদের দলে আরও দশ জন ভাল বিদেশি প্লেয়ার আছে। যাদের মধ্যে কেউ কেপি-র জায়গাটা নেওয়ার সুযোগ পাবে। আর ওরা যদি সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ভাল পারফর্ম করতে পারে, তা হলে আমরা ট্রফি জিততেই পারি।” কেকেআর গত বারের চ্যাম্পিয়ন হলেও সহবাগ কিন্তু এ বার আলাদা করে কোনও দলকে ফেভারিট বাছতে নারাজ। “আইপিএলের ইতিহাসের দিকে এক বার তাকিয়ে দেখুন। যে কোনও টিম এই টুর্নামেন্টটা জিততে পারে। আলাদা করে কোনও টিমকে বাছা কঠিন। সব টিমেরই ক্ষমতা আছে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কোন দিন কোন টিম ভাল খেলবে, সেটাই হল আসল ব্যাপার,” বলছেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের প্রাক্তন অধিনায়ক। এর পরই গত বছরের উদাহরণ টেনে এনে বলছেন, “বিশেষ দিনে কোনও এক জন প্লেয়ারই আপনাকে চ্যাম্পিয়ন করে দিতে পারে। কেকেআরের মনবিন্দর বিসলার কথাই ধরুন। গত বার ফাইনালে ও দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলল আর নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। আশা করব, দিল্লির হয়েও সেই কাজটা কেউ করে দেবে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তাঁকে চশমা পরে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে। আইপিলেও কি সেই দৃশ্য দেখা যাবে? সহবাগ এই প্রথম ডিফেন্সিভ: “দেখতেই পাবেন।”
|
কেকেআর বনাম সহবাগ |
ম্যাচ ৭
ইনিংস ৭
রান ১৫৯
সর্বোচ্চ ৬৪
গড় ২২.৭১
স্ট্রাইকরেট ১৬৫.৬২
হাফসেঞ্চুরি ১ |
|