|
|
|
|
টিপিসির সঙ্গে মিলেই জঙ্গি হত্যা, দাবি করল মাওবাদীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
চাতরায় দশ মাওবাদীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এপ্রিলের ৬ ও ৭ তারিখ ঝাড়খণ্ড ও বিহারে বন্ধের ডাক দিল মাওবাদীরা। ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তর ছত্তীস্গঢ় কমিটির মুখপাত্র গোপালজির নামে রেকর্ড করা একটি বক্তব্য আজ মাওবাদীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে বন্ধের কথা। রেকর্ড করা বিবৃতিতে তৃতীয় প্রস্তুতি কমিটিকে (টিপিসি) পুলিশেরই বেসরকারি সংগঠন বলে দাবি করেছেন গোপালজি। চাতরার লকরমন্নার জঙ্গলে পুলিশ ও টিপিসি যৌথভাবে মাওবাদীদের উপরে আক্রমণ চালিয়েছে বলেই দাবি করেছে মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের দাবি, তাঁদের সদস্যদের চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে আক্রমণ করা হয়। পুলিশ ও টিপিসির সাঁড়াশি আক্রমণের মোকাবিলা করতে গিয়ে এক সময় মাওবাদী কমাণ্ডারদের গুলি ফুরিয়ে যায়। তিন জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি সাত জনকে পাথর মেরে আর গুলি করে খুন করা হয়েছে। জঙ্গলে সেই সময় অন্তত পঁচিশ জন মাওবাদী ছিলেন। পুলিশ বাকিদের টিপিসির লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছে বলেই অভিযোগ মাওবাদীদের। তাঁদের অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলেও মাওবাদীরা এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
গত বুধবার দুপুরের পর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত চাতরার কুণ্ডা থানার লকরমন্নার জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে টিপিসি-র মধ্যে গুলির লড়াই হয় বলে পুলিশ দাবি করে। তার জেরে প্রাণ যায় দশ মাও জঙ্গির। বিগত কয়েক বছরে এত সংখ্যায় মাওবাদী জঙ্গিদের নিহত হওয়ার ঘটনা এখানে ঘটেনি। এই ঘটনা মাওবাদীদের সাংগঠনিক ভাবে অনেকটাই ক্ষতি করেছে বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ ওই ঘটনায় লালেশ যাদব, ধর্মেন্দ্র যাদব, জয়কুমার যাদবদের মতো রাজ্য স্তরের নেতারাও নিহত হয়েছেন। এরই পাশাপাশি, সিমডেগার ঠেঠারি থানার টুকুপানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত রাতে এক পঞ্চায়েত কর্মীকে মাওবাদীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ। মৃতের নাম শিব কুমার। তিনি ওই পঞ্চায়েতের ওয়ার্ড মেম্বার ছিলেন। পুলিশ জানায়, ওয়ার্ড মেম্বার হওয়ায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে সরকার কিংবা পুলিশ প্রশাসনের লোকজনের যোগাযোগ ছিল। সেই কারণেই মাওবাদীরা শিবের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। গত কাল সন্ধ্যায় ওই ওয়ার্ড মেম্বারকে তাঁর বাড়ি থেকে বের করে এনে দুষ্কৃতীরা তাঁকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|