|
|
|
|
মেঘালয় ধর্ষণকাণ্ড |
দ্রুত বিচার চেয়ে কবীরের কাছে আবেদন সাংসদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মেঘালয়ের সেই ধর্ষিতা ছাত্রীকে নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার দিতে বিলম্ব করায়, পুলিশ-প্রশাসনকে ‘শো-কজ’ করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকপত্র জমা দিলেন মেঘালয়ের এনসিপি সাংসদ রবার্ট খারসিং।
গত ডিসেম্বরে উইলিয়াম নগরে ১৭ জনের হাতে ধর্ষিত হয়েছিল নবম শ্রেণির এই ছাত্রী। সুস্থ হওয়ার পরে তাঁকে পাড়া ছাড়া হতে হয়। একাধিক স্কুল তাকে ভর্তি নেয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনও সে ভাবে পাশে দাঁড়ায়নি।
ঘটনাটি উল্লেখ করে খারসিং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের উদ্দেশে একটি স্মারকপত্র পাঠিয়েছেন। তাতে লেখেন, “গত এক দশকে মেঘালয়ে অন্তত ৮০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৫০০টি মামলা এখনও ঝুলছে। উইলিয়াম নগরের ধর্ষিত মেয়েটির সাহায্যে এগিয়ে না আসা ও মামলার তদন্ত ধীর লয়ে করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসন সমানভাবে দায়ী।
অভিযুক্তদের এক জন রাজ্যের এক মন্ত্রীর আত্মীয়, অন্য আর এক অভিযুক্ত প্রাক্তন জঙ্গি নেতা হওয়ায় মেয়েটির উপরে প্রশাসন ও জঙ্গিদলের তরফে দ্বিমুখী চাপ বাড়ছে। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট এগিয়ে না এলে এই মেয়েটিও ন্যায়বিচার পাবে না।” খারসিং অভিযোগ করেন, তদন্তের শুরুতে অভিযুক্তদের প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন ডিজি কুলবীর কৃষ্ণ। মামলাটির প্রতি দিন শুনানির ব্যবস্থাও করেন তিনি। কিন্তু এর পরেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁর আবেদন, “সংসদে পাশ হওয়া নতুন ধর্ষণ-বিরোধী আইনের ভিত্তিতে মেয়েটিকে ন্যায় বিচার দেওয়া হোক। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষে যাঁরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।”
এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য যখন তোলপাড় তখনই মেঘালয়ে এক শিশুকন্যাকে ধর্ষিত হতে হল। দক্ষিণ পশ্চিম গারো হিলের বোইরাগ্রেপাড়া গ্রামে ২২ বছরের রাতাল হাজোং নামে এক যুবক, মেয়েটির বাবা-মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিই রাতালের নাম বলে। রাতাল অবশ্য গত কাল থেকে পলাতক। |
|
|
|
|
|