|
|
|
|
স্লিপার ক্লাসে বাড়তি সুবিধা, মিলবে হালকা খাবারও |
অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
ভাড়া বাড়ানোর পরে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে দূরপাল্লার ট্রেনের সাধারণ সংরক্ষিত কামরায় বাড়তি কয়েকটি সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছেন রেল মন্ত্রকের কর্তারা।
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, এ বার থেকে স্লিপার ক্লাসের কামরায় ল্যাপটপ রাখার টেবিল ও মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার পয়েন্ট রাখা হচ্ছে। যে সব ট্রেনে প্যান্ট্রি কার রয়েছে, সেগুলিতে যাত্রীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও ভেবে দেখা হচ্ছে। রেলের এক কর্তার কথায়, বাতানুকূল কামরার যাত্রীদের মতো স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার লক্ষ্যেই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অতিরিক্ত স্বাচ্ছন্দ্য-সহযোগে এ বছর ৩৮২টি নতুন কামরা তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি, সংরক্ষিত কামরাগুলি পরিচ্ছন্ন রাখতেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেলের তরফে এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রেল মন্ত্রক ঠিক করেছে, এ বার থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সের মহিলা, সন্তানসম্ভবা, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক মানুষেরা নীচের বার্থে সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। এসি টু টুয়ার, থ্রি টিয়ার ও স্লিপার ক্লাসে নীচের বার্থগুলি তাঁদের জন্য চিহ্নিত থাকবে।
গত কয়েক বছরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তাতে যাত্রীদের মৃত্যুও হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দূরপাল্লার ট্রেন ও বড় বড় স্টেশনে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। রেলের এক কর্তা জানান, দেশের ২০২টি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে সুপারিশ করার জন্য ইতিমধ্যে দু’টি পৃথক ‘ফায়ার সেফটি অডিট’ দল তৈরি করা হয়েছে। এরই সঙ্গে প্রতি স্টেশনে রেলের পণ্য বুকিং অফিসে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে কেউ কোনও দাহ্য পদার্থ ফেলে না যায়। আরপিএফ-এর জওয়ানরা প্রতিটি প্যাকেট বিশেষ ভাবে পরীক্ষা করে দেখবেন। চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগার তদন্তে নেমে রেলকর্তারা দেখেছেন, অনেক সময় মালপত্রের মধ্যে থাকা বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লেগেছে। |
|
|
|
|
|