মার্কিন স্তুতি মোদীর ডলারে কেনা: কংগ্রেস
সন্ন লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী পদে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে যতই উঠে পড়ে লাগুন না কেন, বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নরেন্দ্র মোদীর।
গোধরা-কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়ে, কিছু দিন আগেই হোয়ার্টন স্কুলে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ বাতিল করে দেন মার্কিন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘা শুকোতে না শুকোতেই, ফের আঘাত। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ টাকার বিনিময়ে সাজানো। শুধুমাত্র মার্কিন প্রশংসা কুড়োনোর জন্য এ কাজ করেছেন তিনি। প্রতিনিধি দলের প্রধান, ইলিনয়ের রিপাবলিকান সেনেটর অ্যারোন শক অবশ্য এক কথায় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতা অর্জুন মোধওয়াডিয়া। তিনি বলেন, “১৬ হাজার ডলারের বিনিময়ে মার্কিন শিল্পপতি, সেনেটরদের আনানো হয়েছে এখানে। আর তাঁদের সরকারি প্রতিনিধিদল হিসেবে দেখানো হয়েছে। পুরোটাই লোক ঠকানো ঘটনা।” অন্য একটি সূত্রের খবর, ১৮ সদস্যের দলটির প্রত্যেককে হয়তো তিন হাজার ডলার (১.৬২ লাখ টাকা) থেকে ষোলো হাজার ডলার (৮.৬৮ লাখ টাকা) করে দেওয়া হয়েছিল। এই দলে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্য অ্যারন শক, সিন্থিয়া লুমিস এবং ক্যাথি এম রজার্স। পুরো সফরের নেপথ্যে ছিল শিকাগোর ‘ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান আমেরিকান পাবলিক পলিসি’ (এনআইএপিপিআই)। তাদের উদ্যোগেই ওই দলটিকে গুজরাত-সহ বেঙ্গালুরু, তিরুপতি, জয়পুর, রণথম্ভৌর ব্যাঘ্র অরণ্য, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির এবং বলিউড ঘুরে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ দিকে, তাঁদের অভিযোগ শোনার পর অ্যারন শক প্রথমেই বলেন হচ্ছেটা কী! তাঁর কথায়, “আমি শুধু এটুকুই বলব, যথাযথ কর্তৃপক্ষই...বিশেষ করে প্রতিনিধিসভার সদস্যেরাই সফরসূচিতে সই করেছিলেন। এমন তো নয়, মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্য হঠাৎ করে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন। অতএব আমি এ সব ঝামেলার মধ্যে ঢুকছি না।” অ্যারন আরও বলেন, “একটা বিষয়ে নিশ্চিত, আমাদের ভারতে আসা, কিছু লোক সুনজরে দেখছে না। ...সে ক্ষেত্রে আমরা এখানে এসে কী বলছি, তাতেও অনেকের আপত্তি আছে। ... তবে মার্কিন কংগ্রেসের এক জন সদস্য হিসেবে আমার ভারতে আসার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।” এনআইএপিপিআই-র প্রধান শলভ কুমারেরও একই বক্তব্য, “হাউসের নিয়মনীতি যথেষ্ট কঠিন। বিদেশ সফরের প্রস্তাব খারিজ হবে, না পাশ করে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত তারাই নেয়। আমাদের সংস্থা শুধুমাত্র সফরের আয়োজন করে। প্রয়োজনে বাণিজ্যিক সফরে সহযোগিতা করে।”
কংগ্রেসের ‘দাবি’কে পাল্টা এক হাত নিয়েছেন বিজেপি-র বিদেশ শাখার আহ্বায়ক বিজয় জলি। তাঁর দাবি, যে কংগ্রেস এখনও রবার্ট বঢরার পেট্রোল বিল, ব্যক্তিগত খরচ নিজের গ্যাঁট থেকে মেটায়, তাদের মাথায় এ সব অদ্ভুত ধারণা তো আসবেই। মার্কিন প্রতিনিধিরা তাঁদের যাতায়াতের খরচ, হোটেল ভাড়া, খাবার খরচ নিজেরাই দিয়েছেন। ভারতের কোনও সরকারই তাঁদের ব্যক্তিগত খরচ বহন করেনি।
কিন্তু এ সবে বিতর্ক থামছে না। কপ্টার-কাণ্ডে ইতালির ঘুষ দেওয়া নিয়ে, কেন্দ্রকে বিঁধেছিল বিজেপি। তাই বিরোধীদের কোণঠাসা করার এই সুযোগ হয়তো সহজে ছাড়বে না কেন্দ্র। কংগ্রেসের মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেন, “আমেরিকার ভিসা আর ওদের থেকে সার্টিফিকেট পেতে ৯ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন মোদী। দুর্ভাগ্যজনক!”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.