আসল চেকটি রয়েছে চেকবইয়েই। কিন্তু ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, সেই চেক দিয়েই ৯৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে। সম্প্রতি টবিন রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে বরাহনগরের এক দম্পতির। অভিযোগ, জাল চেক তৈরি করে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে সপ্তাহ দু’য়েক আগে বরাহনগর থানায় এফআইআর দায়ের করা হলেও শনিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানায়, ১৪ মার্চ বরাহনগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডের বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী অমৃতা ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টবিন রোড শাখায় টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন, ১২ মার্চ তাঁদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পার্থবাবু জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক যে চেকটি দেখায়, সেটি তাঁদের কাছেই ছিল। যে চেকটি দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে, তার সইয়ের সঙ্গে তাঁর ও অমৃতার সইয়েরও মিল নেই। এর পরেই তাঁরা বিষয়টি ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানান। পরের দিন বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এডিসি (বেলঘরিয়া) বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা গেল না কেন?
পুলিশ সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। তবে তাঁদের অনুমান, পার্থবাবুদের চেকবই হাতিয়ে সেখান থেকে জাল করা হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ হাজার বা তার বেশি পরিমাণ টাকা তুলতে হলে প্যান কার্ডের তথ্য দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কী ব্যাঙ্কের কাছে তা রয়েছে? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ব্যাঙ্কের কাছ থেকে এখনও অনেক নথি মেলেনি। তাই তদন্তের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে এক তদন্তকারী অফিসারের দাবি। এই জালিয়াতিতে ব্যাঙ্ক-কর্মীদের একাংশ জড়িত থাকতে পারে বলেও পুলিশের সন্দেহ।
পার্থবাবুর দাবি, পুলিশের কাছে তাঁরা সন্দেহভাজন কয়েক জনের নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তদন্তের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, “তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ মিললেই গ্রেফতার করা হবে।”
|