প্রচারে প্রার্থীর ছবি নয় |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রচারে হোর্ডিং, ব্যানারে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল। তবে কোনও ক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থীর নামের সঙ্গে বিরোধী দলের প্রার্থীর নামের মিল থাকলে তবেই ব্যানারে ছবি ছাপার ছাড়পত্র মিলবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বুথ কমিটিকে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় দলী, অসন্তোষ এড়াতে প্রতিটি বুথের সব কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে একটি মাত্র নাম বেছে নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে জেলা তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিতদের সই-সহ বুথ কমিটির সিদ্ধান্ত লিখিত ভাবে জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর কথা দলের পঞ্চায়েত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। কোনও বুথ কমিটি এক বার বৈঠকে এক বার ঐক্য না হলে বার বার বসে প্রার্থী বাছাই করতে হবে বলেও োই নির্দেশে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আগে, প্রতিটি বুথে তিন থেকে পাঁচ জনের সম্ভাব্য নাম প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়ে জেলা নেতৃত্বকে পাঠানো হতো। ফলে গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি হতো। দলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “নির্বাচন করেন নিচুতলার কর্মীরাই। তাই তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিল মাসের শুরুতেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’
তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, যে হেতু এক দিকে বামফ্রণ্ট এবং অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে সে জন্য গোড়া থেকেই নিজেদের শক্তি একজোট করতে চাইছেন জেলা নেতৃত্ব। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তিন স্তরেই পাল্লা দিতে হবে তৃণমূল প্রার্থীদের। সে জন্য গোষ্ঠী কোন্দল এড়াতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যাতে কোথাও দলীয় প্রার্থী তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে চলে যাওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যায়। উপরন্তু, কোন কোন নেতার ছবিতে হোর্ডিং ব্যানার তৈরি হবে তা নিয়েও প্রচারে নিজেদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় বলে জেলা নেতারা অনেকেই মানছেন। এবার অন্তত সেই প্রতিযোগিতা এড়ানো যাবে বলে জেলা নেতারা মনে করছেন। |