তোলা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। দোকানেও লুঠপাট চালায় তারা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের ভাদুরিয়ায়।
গত দেড় বছর ধরে বসিরহাট মহকুমার এই এলাকায় তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হয়েছেন। তেঁতুলিয়া বাজারে এক জন নিহতও হয়েছেন। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে জখম হয়েছে এক ছাত্রী। বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাদের ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্ত-লাগোয়া ভাদুরিয়া গ্রামে বাড়ি ব্যবসায়ী শুভেন্দু রায়ের। বাড়ির কাছেই তাঁর সার ও রেশনের দোকান। পেট্রোল পাম্পের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। গত তিন দিন ধরে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে দুষ্কৃতীরা তাঁর কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করছিল। বুধবার, দোলের রাতে তিনি বসেছিলেন নিজের দোকানেই। রাত ৮টা নাগাদ নম্বরপ্লেট বিহীন একটি মোটর বাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতী দোকানে আসে। কেন বার বার ফোন করা সত্ত্বেও টাকা দেননি ওই ব্যবসায়ী, সেই প্রশ্ন করে। গালিগালাজ করে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই দুষ্কৃতীদের এক জন পকেট থেকে রিভলবার বের করে গুলি চালিয়ে দেয়। দ্রুত মাথা সরিয়ে নেন শুভেন্দুবাবু।
গুলি লাগে দোকানের দেওয়ালে। গুলির শব্দে ছুঠে আশেন আশপাশের লোকজন। ক্যাশবাক্স থেকে কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। রাতে ফের এক দফা হামলা হয় শুভেন্দুবাবুর বাড়িতে। তবে সে ক্ষেত্রেও গ্রামবাসীর তাড়ায় বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি তারা। শুভেন্দুবাবুকে দলের কর্মী বলে দাবি করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কবিদাস সর্দার বলেন, “পুলিশকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে।”
রাতেই পুলিশ আসে তদন্তে। বছর খানেক আগেও হুমকি ফোন এসেছিল শুভেন্দুবাবুর বাড়িতে। সে বার তাঁর গাড়ি থামিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পালায় দুষ্কৃতীরা। বার বার এই ঘটনায় আতঙ্কিত শুভেন্দুবাবু। |