|
|
|
|
দু’টি ঘটনায় জখম ছয় |
কেশপুরে সংঘর্ষ, শাসক ও বিরোধী দুষছে পরস্পরকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দু’পক্ষের মারামারিতে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেশপুরে। বুধবার রাতে আমড়াকুচিতে সংঘর্ষ বাধে। মঙ্গলবার রাতে বেলডোবা-কেওটতলা এলাকাতেও সংঘর্ষ হয়। অন্তত ৬ জন জখম হন। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে। আর সিপিএমের দাবি, এই সংঘর্ষ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিণাম। সংঘর্ষের পর ওই সব এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চলছে টহল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “একটি গোলমাল হয়েছিল। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে কেশপুরে। বুধবার রাতে আমড়াকুচিতে হঠাৎই দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তীর অভিযোগ, “সন্দীপ জানা নামে এক সিপিএম কর্মী দলবল নিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। দোকান ভাঙচুর করে।” আমড়াকুচির সংঘর্ষে ৪ জন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের বক্তব্য, “হামলার অভিযোগ মিথ্যে। কয়েকটি এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হয়েছে।” সিপিএমের মতে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এমন ঘটনা তত বাড়বে। মঙ্গলবার রাতে বেলডোবা- কেওটতলাতেও সংঘর্ষ বাধে। জখন হন দু’জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ।
একদা ‘লালদুর্গ’ ছিল কেশপুর। দীর্ঘ দশ এলাকায় একাধিপত্য ছিল সিপিএমের। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারত না বিরোধীরা। প্রবল পরিবর্তনের হাওয়াতেও গত বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকা থেকে জেতেন সিপিএমের রামেশ্বর দোলুই। ভোটের পরে কেশপুর ও তার আশপাশের এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় উদ্ধার হয়। বিড়ম্বনা বাড়ে সিপিএমের। হাড়গোড় উদ্ধারে নাম জড়ায় একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মী-সমর্থকের। গ্রেফতারি এড়াতে গা- ঢাকা দেন এন্তাজ আলি, তড়িৎ খাটুয়ার মতো নেতা। তড়িৎবাবুরা এখনও ‘ফেরার’। ইতিমধ্যে কেশপুরে প্রভাব বেড়েছে তৃণমূলের। সেই সঙ্গে বেড়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কেশপুরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। হামেশাই প্রকাশ্যে আসে গোষ্ঠী বিবাদ। সংঘর্ষও বাধে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সবই সিপিএমের অপপ্রচার। |
|
|
|
|
|