|
|
|
|
১০০ দিনের কাজ দেখতে গিয়ে প্রহৃত |
নিজস্ব সংবদাদাতা • দাঁতন |
একশো দিনের প্রকল্পে মাটি কাটার পরিমাপ করতে গিয়ে শ্রমিকদের হাতে মার খেলেন পঞ্চায়েত কর্মীরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে দাঁতন ১ ব্লকের শালিকোঠা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মেনকাপুর গ্রামে। পঞ্চায়েত কর্মীরা ব্লক প্রশাসন ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিডিও জ্যোতি ঘোষ বলেন, “আপাতত ওই প্রকল্প বন্ধ রাখা হয়েছে।” দাঁতনের আইসি মিহিরলাল নষ্কর বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি চলছে।” নির্বাচনের আগে কোনও রাজনৈতিক দলই প্রকাশ্যে শ্রমিকদের এই আচরণের প্রতিবাদ করেনি।
পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁতন ১ ব্লক এলাকায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ব্যক্তিগত পুকুর সংস্কার ও রাস্তা সংস্কারের কাজ এখন ব্যাপক ভাবে চলছে। তেমনই এক কাজে মেনকাপুর গ্রামের এক পুকুর সংস্কার দেখতে যান পঞ্চায়েতের অতিরিক্ত সহায়ক বিজয়কৃষ্ণ দাস ও গ্রাম রোজগার সহায়ক স্বপন জানা। তাঁদের অভিযোগ, কিছু শ্রমিক ৫৮ ঘনফুট মাটির কাটার বদলে ২০ ঘনফুট করে মাটি কাটছিলেন। তার প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয়। শ্রমিকদের অবশ্য দাবি, পরিদর্শনের কাজে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। অন্য ব্লক ও এমনকী ওই পঞ্চায়েতেরই অন্য বুথে একই রকম কাজ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কোনও আপত্তি ওঠেনি। সিপিএমের দাঁতন জোনাল কমিটির সদস্য তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সদানন্দ দাস বলেন, “সর্বত্র নজরদারির অভাব। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের যৌথ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে কাজের মূল্যায়নে শ্রম দিবস সংখ্যা নয়, কাজের গুণগত মানকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত কর্মীরা সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন।”
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান অবশ্য এর দায় সিপিএমের উপর চাপিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএমই এত দিন কাজে অনিয়ম করেছে। কাজ না করে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়েছে।” বিডিও জ্যোতি ঘোষ বলেন, “শালিকোঠা পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ২৫টি প্রকল্পে কাজ চলছে। সীমিত কর্মীর জন্য সবর্ত্র যথাযথ নজরদারি হচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|