কালনায় পুড়ে ছাই দশটি বাড়ি |
নান্দাই এলাকায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
রান্না করার সময় আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল দশটি বাড়ি। বৃহস্পতিবার কালনা ১ ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর রেল কলোনির ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে এলাকার বাসিন্দা পানমণি সরেন বাড়িতে উনুনে রান্না করছিলেন। বাড়িটি টিন ও বেড়ার তৈরি। স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব মান্ডি, লুকিরাম মান্ডি, কৃষ্ণ মান্ডি, তেরাঙ্গা সরেনদের দাবি, রান্না করতে করতে আগুন লেগে যায়। ২০ মিনিটের মধ্যে দশটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। এগুলি বেশিরভাগই টিন, বেড়া ও পাটকাঠি দিয়ে তৈরি। রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির, ভূমি ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি দমকল ও কালনা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন। কাছাকাছি জল না মেলায় দমকল আসার আগেই দশটি বাড়ি পুড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ মালক জানান, তিনি এ বার পেঁয়াজ বিক্রি করে বেশ কয়েক হাজার টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু আগুনে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রধান ঈদের আলি মোল্লার দাবি, লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে যান কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তি চাল। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “আমার সামনেই এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। চাঁদা তুলে খাবার ও রান্নার জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছে।”
|
প্রসূতিকে উদ্ধার করল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
দু’দিন ধরে পড়ে থাকা এক প্রসূতিকে উদ্ধার করে নার্সিংহোমে পাঠাল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের পীরবাহারাম লাগোয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার পায়ে পুরনো পোড়া দাগ ও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “ওই মহিলা প্রায় আট মাসের প্রসূতি। তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই বাড়ির বাইরে ঘুরছেন বলে আমাদের ধারণা। তবে নিজের সম্পর্কে তিনি খুব বেশি কিছু বলতে পারছেন না।” পুলিশ জানায়, হিন্দিভাষী ওই মহিলা নিজের নাম জানিয়েছেন লছমনিয়া। তিনি বীরভূমের মুরারইয়ের বাসিন্দা সাজন নামে এক ব্যক্তির মেয়ে বলেও জানিয়েছেন। বর্ধমান থানার পুলিশ জানায়, বিষয়টি মুরারই থানাকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে ওই মহিলার বিশেষ কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি। তবে শরীরে হিমোগ্লোবিন খুব কম থাকায় তাঁকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই তাঁর বাড়ির খোঁজ মিলবে বলে আশা পুলিশের।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল কলেজ মাঠ একাদশ ও ইউনিক। আজ শুক্রবার কাটোয়া কলেজ মাঠে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা হবে। গত বুধবার ওই মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে কলেজ মাঠ একাদশ হারিয়ে দেয় অগ্রণী সঙ্ঘকে। কলেজ মাঠ একাদশ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০৪ রান করে (আবদুর রহমান ৬২ রান।) অগ্রণী ১১৬ রানেই সব উইকেট হারায়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সুকান্ত স্মৃতি সঙ্ঘকে হারিয়ে ১০ উইকেটে জয়ী হয় ইউনিক। প্রথমে ব্যাট করে সুকান্ত স্মৃতি সঙ্ঘ ৯ উইকেটে ১৪০ রান করে। পরে প্রথম জুটিতেই (সজীব সরকার ৮৭ ও অরিন্দম ঘোষ ৪০ রান) ১৪ ওভারের মধ্যেই ইউনিক প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। |